২১-নভেম্বর-২০২৪
২১-নভেম্বর-২০২৪
Logo
খুলনা

খুলনার ছয়টি আসনে জামানত হারাচ্ছেন ৩০ প্রার্থী

৩য় বারের মত নির্বাচিত হয়ে ফুলে ফুলে সিক্ত হচ্ছেন সালাম মূর্শেদী

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিতঃ ২০২৪-০১-০৯ ১৫:২৩:১০
...

এস এম মাহবুবুর রহমান, খুলনা থেকে :

খেলার মাঠ কাপানো অভ্যাস থাকলেও রাজনীতির অভিজ্ঞতা ছিলনা তার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অকৃত্রিম ভালবাসায় রাজনীতির মাঠে নেমে এখন জনপ্রিয় এমপি তিনি। তাও আবার প্রথমবারের মত নয়। উপ নির্বাচনের এমপি হওয়ার পর দু’টি সংসদ নির্বাচনে বিজয় অর্জন করলেন তিনি। এই মিরাক্কেল ঘটানো ব্যক্তি হলেন খুলনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য তারকা ফুটবলার আব্দুস সালাম মূর্শেদী। খেলোয়াড় থেকে সফল ব্যবসায়ী এবং ব্যবসার সুবাধে পেশাজীবী ও ক্রীড়া সংগঠনের নেতৃত্ব দিয়েছেন বছরের পর বছর। এ রকম অভিজ্ঞতা অনেকের থাকলেও জনগনের ভালোবাসা অর্জন করে জনপ্রতিনিধি হওয়া ব্যক্তির সংখ্যা নেই বললেই চলে।

অথচ সততা, নিষ্ঠা, মানবিকতা ও এলাকার উন্নয়নে অভুতপুর্ব অবদান রাখায় আব্দুস সালাম মূর্শেদী এখন জননন্দিত এমপি। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন লাভের পরও তাকে পরাজিত করার জন্য উঠে-পড়ে লাগে একটি মহল। দলের ভিতরও সৃষ্টি হয় বড় ধরনের গ্রæপিং। কিন্তু সকল বাধা-বিপত্তি ও ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে জনগণের ভালোবাসায় ২৫হাজার ৩০১ ভোটের ব্যবধানে জয় ছিনিয়ে এনেছেন আব্দুস সালাম মূর্শেদী। তার এই বিজয়ে দলীয় অনুসারীসহ রূপসা, তেরখাদা ও দিঘলিয়ার সাধারণ মানুষের মাঝে বিরাজ করছে আনন্দ-উল্লাস। সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর ৭ জানুয়ারী রাত থেকে খুলনার কাষ্টমঘাটস্থ তার কার্যালয়ে দলে দলে নেতা-কর্মী, সমর্থক ও সাধারণ মানুষ ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত হচ্ছেন জনপ্রিয় এমপি আব্দুস সালাম মূর্শেদী।

রূপসা উপজেলার ৩নং নৈহাটী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ মুস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক বলেন, আব্দুস সালাম মূর্শেদী একজন সৎ ও আদর্শবান মানুষ। তারমত একজন ভালো মানুষকে ভোটে নির্বাচিত করতে পেরে আমরা খুবই খুশি।
সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ কামাল হোসেন বুলবুল বলেন, আব্দুস সালাম মূর্শেদী ভাইকে পরাজিত করার জন্য নানাভাবে ষড়যন্ত্র সৃষ্টি হয়েছিলো। উনি একজন উন্নয়নশীল ও পরোপকারী মানুষ হওয়ায় জনগনের ভালোবাসায় বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছেন। তিনি বলেন, এ বিজয় সততার, এ বিজয় জনতার, এ বিজয় উন্নয়নের, এ বিজয় জননেত্রী শেখ হাসিনার।

স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের সভাপতি প্রধান শিক্ষক মোঃ রবিউল ইসলাম পলাশ বলেন, এমপি আব্দুস সালাম মূর্শেদী একজন কাজ পাগল মানুষ। যেখানে উন্নয়ন দরকার সেখানেই সালাম মূর্শেদী। সমাজের উঁচুস্তর থেকে নিম্ন পর্যায়ের সকল ধরণের মানুষের সাথে রয়েছে তার নিবিড় সম্পর্ক। যে কারণে হাজারো বাধা উপেক্ষা করে তিনি বিজয় অর্জন করেছেন।

ব্যবসায়ী মইনুল ইসলাম টুটুল বলেন, দেশ জুড়ে সরকারের ধারাবাহিক উন্নয়নের রূপসা, তেরখাদা ও দিঘলিয়া উপজেলা এলাকায় আব্দুস সালাম মূর্শেদী ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। মানবিক গুনাবলিতেও অনন্য তিনি। সাধারণ মানুষ তাই তাকে আপন করে নিয়েছে। ভারী হয়েছে আওয়ামী লীগের ভোট ব্যাংকও। এসব নানাবিধ কারণে সালাম মূর্শেদী সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে বিজয় অর্জন করেছেন। তার বিজয়ে আমরা খুবই খুশি।

এদিকে নির্বাচিত হওয়ার পর এমপি আব্দুস সালাম মূর্শেদী তার অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে লিখেছেন, এই বিজয় জননেত্রী শেখ হাসিনার। এই বিজয় রূপসা, তেরখাদা ও দিঘলিয়াবাসীর। এই বিজয় উন্নয়নের। এই বিজয় গণতন্ত্রের। এই বিজয় স্বাধীনতার পক্ষের। তিনি আরো উল্লেখ করেছেন, গণতন্ত্র ও উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখে নান্দনিক মানবিক স্মার্ট খুলনা-৪ (রূপসা-তেরখাদা-দিঘলিয়া) আসন বিনির্মাণে জননেত্রী শেখ হাসিনার নৌকা প্রতীকে আস্থা রেখে আমাকে তৃতীয় বারের মত পুনরায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত করায় প্রাণের রূপসা, তেরখাদা ও দিঘলিয়াবাসীর প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই।

এদিকে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে খুলনার ছয়টি সংসদীয় আসনে প্রতিদ্ব›দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে জামানত হারাতে হচ্ছে ৩০ প্রার্থীর। আসনগুলিতে ১১টি রাজনৈতিক দলের প্রার্থীসহ স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছে। নির্বাচন কমিশনের বিধিমালা মোতাবেক জামানত রক্ষার কাঙ্খিত ভোট ভোট না পাওয়ায় তারা জামানত হারাচ্ছেন।

এবারের নির্বাচনে খুলনার ছয়টি আসনেই নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থীরা। এর মধ্যে খুলনা-১ আসনের ননী গোপাল মন্ডল, খুলনা-২ আসনে সেখ সালাউদ্দিন জুয়েল, খুলনা-৩ আসনে এস এম কামাল হোসেন, খুলনা-৪ আসনে আব্দুস সালাম মুর্শেদী, খুলনা-৫ আসনে নারায়ণ চন্দ্র চন্দ্র ও খুলনা-৬ আসনে মো. রশীদুজ্জামান। ছয়টি আসনের মধ্যে দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে নির্বাচনে অংশ নিতে পারেননি একজন প্রতিমন্ত্রীসহ আরো ২জন এমপি। খুলনা-১ আসনের সংসদ সদস্য পঞ্চানন বিশ্বাস, খুলনা-৩ আসনের সংসদ সদস্য এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান ও খুলনা-৬ আসনের সংসদ সদস্য আক্তারুজ্জামান বাবু।