চিত্রনায়িকা পরীমণির বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলার কার্যক্রম বাতিল প্রশ্নে জারি করা রুল পর্যবেক্ষণসহ খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। এর ফলে তার বিরুদ্ধে মামলাটির কার্যক্রম চলতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
এর আগে, ২০২৩ সালের ৯ জানুয়ারি পরীমণির বিরুদ্ধে দায়ের করা মাদক মামলা বাতিল প্রশ্নে জারি করা রুল ছয় মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ। আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. নুরুজ্জামানের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের দুই নম্বর বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
ওই দিন পরীমণির আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক বলেছিলেন, আপিল বিভাগ হাইকোর্টের রুল ছয় মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে বলেছেন। এ সময় বিচারিক আদালতকে নির্দেশ দিয়েছেন ট্রায়াল যেন প্রসিড না করে এবং ছয় মাসের মধ্যে যদি আমরা হাইকোর্টে রুল শুনানি করতে ব্যর্থ হই তাহলে মামলার কার্যক্রম চলবে।
২০২১ সালের ৪ আগস্ট রাজধানীর বনানীতে পরীমণির বাসায় অভিযান চালায় র্যাব। দাবি করা হয়, ওই সময় বাসা থেকে জব্দ করা হয় বিপুল পরিমাণ বিদেশি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের দামি মদ, মদের বোতলসহ অন্যান্য মাদকদ্রব্য। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তিনি জামিনে মুক্তি পান। ৪ অক্টোবর আদালতে পরীমণিসহ তিন জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
অভিযোগ গঠনের পর ওই মামলা বাতিল চেয়ে পরীমণির করা আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রুল দিয়ে মামলার কার্যক্রম তিন মাসের জন্য স্থগিত করেন।
পরীমণির বাসা থেকে এলএসডিসহ নানা ধরনের মাদক জব্দ করা হয়েছিল। ছিল অ্যালকোহলের মতো মাদকও। তবে অ্যালকোহলের সেবনের লাইসেন্স ছিল এই চিত্রনায়িকার। হাইকোর্ট রায় দিয়ে বলেছেন, অ্যালকোহল ছাড়া এলএসডিসহ জব্দ অন্য মাদকের বিচার চলবে।
আদালত আরও বলেছেন, তার ঘর থেকেই এই মাদক উদ্ধার করা হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে প্রমাণ হয়েছে।
পরে তার আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক বলেন, হাইকোর্টের এ রায়ের পর পরীমণির বিরুদ্ধে নতুন করে চার্জ ফ্রেম করতে হবে। বিচারে মাদকের কিছু অংশ বাদ যাবে।
অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনো কিছু কপি করা যাবে না
Website Design & Developed By BATL