বাংলাদেশসহ বেশ কয়েকটি মুসলিম দেশে ইহুদিবাদী ইসরায়েলিদের প্রবেশ করতে দেওয়া হয় না। মূলত এই দেশগুলো ইসরায়েলকে কোনো রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় না। ফলে ইসরায়েলি পাসপোর্টকে বৈধ হিসেবেও গণ্য করে না তারা। এছাড়া ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি প্রকাশের একটি বিষয়ও রয়েছে।
গত ১৪ মার্চ ‘ওয়ার্ল্ড অব স্ট্যাটিসটিকস’ একটি তালিকা প্রকাশ করেছে। ওই তালিকায় তারা বলেছে,বিশ্বের কয়েকটি দেশ ইসরায়েলিদের প্রবেশ করতে দেয় না। সেগুলো হলো— আলজেরিয়া, বাংলাদেশ, ব্রুনাই, ইরান, ইরাক, কুয়েত, লেবানন, লিবিয়া, পাকিস্তান, সৌদি আরব, সিরিয়া এবং ইয়েমেন।
ওয়ার্ল্ড অব স্ট্যাটিসটিকস তালিকাটি প্রকাশ করার পর অবৈধ দখলদার ইসরায়েল প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। তারা তাদের অফিসিয়ার এক্স অ্যাকাউন্ট থেকে শুধু বলেছে, “ঠিক আছে”।
মধ্যপ্রাচ্যে শুধুমাত্র সংযুক্ত আরব আমিরাতে ইসরায়েলিরা অন অ্যারাইভাল ভিসা সুবিধা পেয়ে থাকে।
এই পোস্টটি ইতিমধ্যে মাইক্রো ব্লগিং সাইট এক্সে ভাইরাল হয়ে গেছে। অনেকে এ নিয়ে ইতিবাচক ও নেতিবাচক উভয় মন্তব্যই করেছেন। একজন লিখেছেন, “আমার ইসরায়েলি পাসপোর্ট নেই। কিন্তু তা সত্ত্বেও আমি এসব দেশে যেতে চাই না।”
আরেকজন লিখেছেন, “যেভাবে সবকিছু হচ্ছে। আর কয়েকদিন পর শুধুমাত্র আর্জেন্টিনা ইসরায়েলি পাসপোর্ট গ্রহণ করবে।”
বর্তমানে বিশ্বের ১৭১টি অঞ্চলে ভিসা ফ্রি সুবিধা পেয়ে থাকেন ইসরায়েলিরা। বিশ্বে শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকের ২০তম স্থানে আছে ইসরায়েল।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও লাতিন আমেরিকার সব দেশে ইসরায়েলিরা ভিসা ছাড়াই প্রবেশ করতে পারে। ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক আছে এবং ভিসার প্রয়োজন রয়েছে সেসব দেশ হলো— চীন, ভারত এবং যুক্তরাষ্ট্র।
/মামুন
অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনো কিছু কপি করা যাবে না
Website Design & Developed By BATL