সৌদি আরবের পাবলিক প্রসিকিউশন সতর্কতা দিয়েছে, আসন্ন হজে গিয়ে যারা অবৈধভাবে অর্থসংগ্রহের চেষ্টা করবেন তাদের কঠোর শাস্তির মুখে পড়তে হবে। এ সংক্রান্ত যে আইন রয়েছে, সেটি যদি কেউ ভঙ্গ করেন তাহলে তাকে ৭ বছর বা তারও বেশি কারাদণ্ড অথবা পাঁচ মিলিয়ন সৌদি রিয়াল জরিমানা করা হবে। অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। যা বাংলাদেশি অর্থেপ্রায় ১৫ কোটি টাকার সমান।
মাইক্রো ব্লগিং সাইট এক্সে এ ব্যাপারে পাবলিক প্রসিকিউশন জানিয়েছে, অনুমতি ছাড়া নগদ অর্থবা অন্য কোনো সাহায্য সংগ্রহ করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ এবং এটি একটি গুরুতর অপরাধ।
যারা অর্থসংগ্রহের জন্য সাধারণ হাজিদের সঙ্গে প্রতারণা করবেন তাদের বিরুদ্ধে অর্থজালিয়াতির আইন অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই আইনের মাধ্যমে যে কোনো ধরনের জালিয়াতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। যার মধ্যে রয়েছে, প্রতারণা, মিথ্যার আশ্রয় এবং ভুয়া কাহিনী তৈরি।
ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের অন্যতম একটি হলো হজ। যে সকল মুসলিমের আর্থিক ও শারী রিক সক্ষমতা রয়েছে; তাদের জীবনে অন্তত একবার হজ করা বাধ্যতামূলক। হজে বিভিন্ন নিয়ম-নীতি রয়েছে। হজে যাওয়া মুসল্লিদের কাবা ঘর প্রদক্ষিণ করতে হয়। সাফাহ ও মারওয়াহ পাহাড়ে আসা যাওয়া করতে হয়। আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করতে হয় এবং মিনায় প্রতীকি শয়তানকে লক্ষ্য করে পাথর নিক্ষেপ করতে হয়।
জিলহজ মাসের ৮ তারি খ থেকে ১২ তারিখ পর্যন্ত (মাঝে মাঝে ১৩ তারিখ) হজ অনুষ্ঠিত হয়। ইসলামিক বর্ষপঞ্জির শেষ মাস হলো জিলহজ। এ বছর হজ জুনের শেষ সপ্তাহ অথবা জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হতে পারে।
সূত্রঃ গালফ নিউজ’র।
/মামুন
অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনো কিছু কপি করা যাবে না
Website Design & Developed By BATL