কিশোরগঞ্জ
এক সময়কার ছাত্র রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দু জাতীয় রাজনীতিতে অনেক জাতীয় নেতা উপহার দিয়েছে গুরুদয়াল সরকারি কলেজ।বর্তমানে বাংলাদেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের অনেক নেতা কিংবা প্রয়াত অনেক জাতীয় নেতা গুরুদয়াল সরকারি কলেজ থেকে তাদের সোনালি রাজনৈতিক জীবনের সূচনা করেছিলেন।
সদ্য সাবেক মহামান্য রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড.আব্দুল মান্নান,প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি মোজাম্মেল হোসেনসহ অনেক জাতীয় নেতা ও রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ দ্বায়িত্ব পালনকারী ব্যাক্তিরা গুরুদয়াল সরকারি কলেজের ছাত্র ছিলেন।সেই গুরুদয়াল সরকারি কলেজে দীর্ঘ ২৮ বছর ধরে ছাত্র সংসদ নির্বাচন নেই ৷ ঐতিহ্যবাহী এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দীর্ঘদিন ধরে ছাত্র সংসদ না থাকার ফলে শিক্ষাঙ্গনে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে বলে মনে করেন শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, যেখানে ক্যাম্পাসের সাহিত্য, সংস্কৃতি, ক্রীড়া, নাট্যকলাসহ সব সাংস্কৃতিক কার্যক্রম ছাত্র সংসদ করে থাকে, সেখানে দীর্ঘদিন ধরে ছাত্র সংসদ না থাকার ফলে এসব থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তারা। তারা মনে করেন, সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশে ও তাদের দাবি-দাওয়া নিয়ে কলেজ প্রশাসনের সঙ্গে কাজ করার জন্য ছাত্র সংসদ নির্বাচন হওয়া প্রয়োজন।
দীর্ঘ এই সময় ধরে কলেজের ছাত্র সংসদ এর কোন কার্যক্রম না থাকায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবি যেন অবিলম্বে ছাত্রসংসদ সচল করা হয়।সূত্রে জানা গেছে,গুরুদয়াল সরকারি কলেজে সর্বশেষ ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয় ১৯৯৫ সালে।নির্বাচনে ছাত্রদলের সাইফুল ইসলাম সুমন ভিপি ও ছাত্রলীগের এনায়েত করিম অমি জিএস নির্বাচিত হন।
বর্তমানে এ কলেজে শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৩০ হাজার। উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণি ছাড়াও ১৪ টি বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর চালু রয়েছে।এ অবস্থায় কলেজে ক্লাস প্রতিনিধি মনোনয়নই অসম্ভব হয়ে পড়ছে। তাই শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবী ওঠে।তবে ৯৫ সালের পর আর ছাত্র সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি।
অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনো কিছু কপি করা যাবে না
Website Design & Developed By BATL