২১-নভেম্বর-২০২৪
২১-নভেম্বর-২০২৪
Logo
ময়মনসিংহ

মোহনগঞ্জে অধ্যক্ষের অনিয়ম ও দূর্নীতির প্রতিবাদে মানববন্ধন

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশিতঃ ২০২৪-০২-২৬ ১৭:১২:১৪
...

মোহাম্মদ ইমাম হোসেন , মোহনগঞ্জ থেকে ফিরে :

নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ আবুল হোসেন চৌধুরীর বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দূর্নীতির প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থীরা।
রবিবার সকাল ১০ টা থেকে শুরু করে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ক্লাস বর্জন করে কলেজের সাধারন শিক্ষার্থীদের ব্যানারে কলেজ প্রাঙ্গনে এসব কর্মসূচী পালন করা হয়।

ওইদিন কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ইংরেজি ২য় পত্রের নির্বাচনী পরীক্ষাও বর্জন করে শিক্ষার্থীরা এ কর্মসূচীতে অংশগ্রহন করে।
প্রায় ৫ শতাধিক শিক্ষার্থীর অংশ গ্রহণে এ বিক্ষোভ মিছিল শেষে অনুষ্টিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, কলেজের ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র জোবায়ের হাসান অনিক, মনোয়ার হোসেন, মেহেদী হাসান জয়, রাজিব মিয়া, রায়হান তালহা, ওয়াকিব মিয়া, সজিব মিয়া, পায়েল আহম্মেদ, বরকত মিয়া, মান্না মিয়া, মাফিয়া আক্তার প্রমূখ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, অধ্যক্ষ আবুল হোসেন গত প্রায় ৫ বছর ধরে এ কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে দ্বায়িত্ব পালণ করে আসছেন। কিন্তু তিনি এ দ্বায়িত্বে আসার পর থেকেই তাঁর নানা অনিয়ম -দূর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার কারণে এখানকার শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বিনষ্ট হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের জন্য কলেজে নেই কোনো খেলাধুলার সামগ্রী। এমনকি গত ৪-৫ বছর যাবত কলেজে কোনো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়নি। এতে করে শিক্ষার্থীরা ক্লাসের ফাঁকে বাজে কাজের সাথে জড়িয়ে পড়ছে। শুধু তাই নয় কলেজে কম্পিউটার ল্যাব থাকা সত্ত্বেও ল্যাবটি কোনো দিন খোলা হয়নি। অধিকাংশ শিক্ষার্থীরা জানে না ওই ল্যাবটি কোথায়। কম্পিউটারগুলো শিক্ষকরা অনেকেই নিজেদের বাসায় নিয়ে ব্যবহার করছেন। এতে করে শিক্ষার্থীরা কম্পিউটার শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এছাড়াও কলেজে লাইব্রেরি থাকা সত্বেও সেটি মাসের পর মাস তালাবদ্ধ করে রাখা হয। কলেজের সাইন্সল্যাবের অবস্থাও একই রকম। বছর ধরে সেটি না খোলার কারণে ধূলোবালি জমে সেটিও এখন পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে

বক্তারা আরো বলেন, এসব খাতে প্রতি বছরই কলেজে সরকারিভাবে লক্ষ লক্ষ টাকা বরাদ্দ আসলেও অধ্যক্ষ আবুল হোসেন চৌধুরী এসব বরাদ্দকৃত টাকা কলেজের কোনো খাতেই ব্যয় না করে সাকুল্য টাকা আত্মসাৎ করে আসছেন। তাই এমন দূর্নীতিবাজ অধ্যক্ষকে অনতি বিলম্বে কলেজ থেকে প্রত্যাহার করার জোর দাবি জানান বক্তারা।
এ বিষযে জানতে কলেজের অধ্যক্ষ মো. আবুল হোসেন চৌধুরীর ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বারে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোনটি না ধরায় তাঁর বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।