নিজস্ব প্রতিনিধি
সুন্দরগঞ্জ(গাইবান্ধা):
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের সেই বহুল আলোচিত পুলিশ ট্র্যাজেডি ও চার পুলিশ হত্যার ১১ বছর পূর্ণ হলো আজ। কিন্তু আজও শেষ হয়নি এ হত্যা মামলার বিচারিক কার্যক্রম।
বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বিভিন্ন আয়োজনের মধ্য দিয়ে সুন্দরগঞ্জের বামনডাঙ্গায় পুলিশ হত্যা দিবস পালন করা হয়।
কর্মসূচির মধ্যে ছিল বামনডাঙ্গা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ, কোরআন খানি, দোয়া মাহফিল ও তবারক বিতরণ।
স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন গাইবান্ধার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অবস) মো. ইব্রাহিম হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এ-সার্কেল) ধ্রুব জ্যোতির্ময় গোপ (বিপিএম সেবা), সুন্দরগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মিলন কুমার চ্যাটার্জি, বামনডাঙ্গা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মো. আব্দুল আজিজ।
পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র সংলগ্ন জামে মসজিদে নিহত চার পুলিশ সদস্যের আত্মার মাগফিরাত কামনায় মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
এদিকে, স্থানীয় সংসদ সদস্য প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ নাহিদ নিগারের পক্ষ থেকে চার পুলিশ স্মরণে স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
প্রসঙ্গত, গত ২০১৩ সালে এই দিনে (২৮ ফেব্রুয়ারি) মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ফাঁসির রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে সুন্দরগঞ্জে হরতাল ডাকা হয়েছিল। সকাল থেকে উপজেলার কঞ্চিবাড়ি, বেলকা, দহবন্দ, হরিপুর, বামনডাঙ্গা, সর্বানন্দ, রামজীবন ও ধোপাডাঙ্গা ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ করে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মী ও সাঈদী অনুসারীরা।
এদিন দুপুরে সাঈদীর ফাঁসির রায় ঘোষণার পর পরই সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় শুরু হয় সাঈদী অনুসারীদের নারকীয় তাণ্ডব। তারা উপরে ফেলে বামনডাঙ্গা রেল স্টেশনের রেল লাইন, অগ্নিসংযোগ করে আওয়ামী লীগের স্থানীয় কার্যালয় ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কার্যালয়। এরপর তারা বামনডাঙ্গা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে গিয়ে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। একপর্যায়ে সেখানে থাকা চার পুলিশ সদস্যকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে।
অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনো কিছু কপি করা যাবে না
Website Design & Developed By BATL