নিজস্ব প্রতিনিধি
নীলফামারী :
জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে ২৪ শতক জমির ফলন্ত কলাগাছ কেটে নষ্ট করেছে প্রতিপক্ষ। শত্রুতা বশত প্রায় ২লাখ টাকার ক্ষতি করে, উঠতি ফলস হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছে পরিবারটি।
এমন অমানবিক ও বেআইনি ঘটনাটি ঘটেছে নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের সোনাখুলী পুলপাড়া এলাকায়। গত ৩ মার্চ এই ঘটনা ঘটলেয় বাধ্য হয়ে সুবিচারের আশায় নীলফামারী জজ কোর্টের বিজ্ঞ আমলী আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। কিন্তু তারপরও হুমকি দিয়েই চলেছে বিবাদীরা।
জানা যায়, ওই এলাকার মৃত খয়ের উদ্দিনের মো. হামিদুল হক (৫৭) আপোষ সূত্রে পৈত্রিক সম্পত্তির ২৪ শতক জমি (যার এসএ ও বিএস খতিয়ান তার পিতার নামেই আছে) দীর্ঘদিন থেকে ভোগ দখল করে আসছে। ওই জমির উত্তর অংশে কলাগাছ ও দক্ষিণ অংশে বাঁশঝাড় লাগিয়েছেন।
সম্প্রতি ওই জমিতে নিজেদের অংশ আছে দাবী করেন তার জ্ঞাতি মৃত কফর উদ্দিনের ছেলে মো. মকবুল হোসেন (৬২)। একারণে ওই জমি নিয়ে উভয় পরিবারের মধ্যে কিছু দিন ধরে বিরোধ চলছে। প্রায় সময়ই জমিটি জোর করে দখলের চেষ্টা করে এবং হুমকি দিয়ে আসছে।
এমতাবস্থায় গত ৩ মার্চ দুপুর আনুমানিক ১২ টার দিকে পূর্বপরিকল্পিত প্রস্তুতি অনুযায়ী মকবুল হোসেন ও তার ছেলে গোলাম মোস্তফা (৩২), আতিয়ার রহমান (৩১), এজাহার আলী (২৮), মোজাহারুল ইসলাম (২৬) ও মুসা কলিমুল্লাহ (২৪) সহ পাশ্ববর্তী সোনাখুলীর মৃত তছলিম উদ্দিনের ছেলে মুজাল মামুদ (৪৫)। দলবদ্ধ ভাবে লাঠি, ছােড়া, দা, হাসুয়া নিয়ে নালিশী জমিতে এসে ৫২ টি ফলন্ত কলাগাছ কেটে ফেলে। যার দাম প্রায় ১ লাখ টাকা।
খবর পেয়ে হামিদুল হক ও তার ভাই হারুন অর রশিদ ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রতিবাদ করে। এতে মকবুল হোসেন কে ভয়ভীতি দেখিয়ে মেরে ফেলার হুমকি দেয় এবং তেড়ে আসে। এসময় তাদের সামনেই ১২ টি কলার পিড় (ছড়ি) কেটে নিয়ে যায়।
হামিদুল হক বলেন, মকবুলের ছেলেরা বেশ দুর্দান্ত ও তারা লোভের বশে সম্পূর্ণ অযৌক্তিকভাবে ওই জমিতে অংশ দাবী করে, এখন গায়ের জোরে দখল করতে চাচ্ছে। যা বেআইনী। প্রতিবাদ করায় তারা গাছের সাথে শত্রুতার ক্ষোভ ঝেড়েছে। আমার লাখ টাকার কলাগাছ কেটে সাবার করেছে। আগামী রমজানে কলাগুলো বিক্রি করতে পারতাম। তাতে বেশ লাভবান হতাম। কিন্তু তারা সেগুলো নষ্ট করে আমাকে নিঃস্ব করে দিয়েছে।
এব্যাপারে মকবুল হোসেনের সাথে কথা বললে তিনি অশিকার করে বলেন আমরা কলার গাছ কাটিনি, ওই জমিতে ভাগ পাবো। তা না দিয়ে হামিদুল একাই ভোগ করছে।
অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনো কিছু কপি করা যাবে না
Website Design & Developed By BATL