পুলিশ বিএনপি সংঘর্ষে জেলা ছাত্রদল সভাপতি নূরে আলমসহ দুই কর্মীর মৃত্যুর প্রতিবাদে বিএনপির ডাকে আজ বৃহস্পতিবার ভোলায় সকাল-সন্ধ্যা হরতাল চলছে। হরতালের সমর্থনে সকাল থেকে বিএনপি নেতাকর্মীরা শহরের বিভিন্ন স্থানে খণ্ড খণ্ড মিছিল করছে। সকাল থেকে যানবাহন অন্য দিনের তুলনায় অনেকাংশেই কম রয়েছে। পাশাপাশি বন্ধ রয়েছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বিপণিবিতান।
তবে গতকাল বিকেল থেকে যে কোন ধরনের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শহরের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে কিন্তু বিপুল পরিমাণ পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এর আগে গতকাল বিকেলে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছাত্রদল সভাপতি নূরে আলমের মৃত্যু হয়। এ খবরে ভোলায় বিএনপির নেতাকর্মীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। তারা তাৎক্ষণিক রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে হরতালের ডাক দেয়।
এদিকে ভোলায় পুলিশ-বিএনপি সংর্ঘষে বিএনপির দুই নেতা কর্মীর মৃত্যুর প্রকৃত ঘটনা উৎঘাটনের জন্য বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল আজ সকালে ঢাকা থেকে ভোলা এসে পৌঁছেছে। তারা নিহতদের পরিবারকে সমবেদনা জানানোর পাশাপাশি প্রত্যক্ষদর্শীদের সাথে সাক্ষাৎ করবেন।
উল্লেখ্য, সারাদেশে লোডশেডিং ও জ্বালানি অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে রোববার (৩১ জুলাই) ভোলায় আয়োজিত বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে বাধা দেওয়ায় এ সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় পুলিশ এবং বিএনপির শতাধিক নেতাকর্মী আহত হন, যার মধ্যে অনেকে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। সংঘর্ষে স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আবদুর রহিম নিহত হন। একইদিন আহত হয়ে ঢাকা কমপ্যাথ হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন জেলা ছাত্রদল সভাপতি নুরে আলম। বুধবার বিকেল ৩টার দিকে তিনি মারা যান। এ নিয়ে এ সংঘর্ষের ঘটনায় দুজনের মৃত্যু হলো।
এ সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা চার শতাধিক নেতাকর্মীর নামে আলাদা দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনো কিছু কপি করা যাবে না
Website Design & Developed By BATL