এম এ বাবর:
আগামী ২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশের মধ্য দিয়ে মহাযাত্রা শুরুর ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। একই দিন পাল্টা কর্মসূচি নিয়ে ঢাকা দখলে রাখার ঘোষণা দিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগও। বড় দুই দলের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
গত ডিসেম্বর থেকে সরকার পতনের পাশাপাশি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে ঢাকা ও ঢাকার বাইরে ধারাবাহিকভাবে কর্মসূচি পালন করে আসছে বিএনপি।
এবার চূড়ান্ত পর্যায়ের আন্দোলনে বদ্ধ পরিকর দলটির সিনিয়র নেতারা। সে লক্ষ্যে আগামী ২৮ অক্টোবর দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশর ঘোষণা দিয়েছে দলটি। একদিন পাল্টা কর্মসূচি নিয়ে মাঠে থাকার ঘোষণা দিয়েছে ক্ষমতাসীন দলও। এ নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গন এখন উত্তপ্ত।
বিএনপি নেতাদের অভিযোগ, দলের নানা কর্মসূচির আগে-পড়ে নেতাকর্মীদের গণগ্রেপ্তার অব্যহত আছে। আগামী কর্মসূচিকে ঘিরে নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের সংখ্যা বাড়ছে। গত বৃহস্পতিবার শুধু এক দিনেই বিএনপির ১৭২ নেতাকর্মী কারাগারে পাঠানো হয়েছে। শুধু গ্রেফতার নয়, মামলা দেওয়ার ক্ষেত্রে কৌশল পরিবর্তন হচ্ছে বলে মনে করছেন বিএনপি নেতারা। অতীতে কোনো ঘটনা ঘটলেই দলের সিনিয়র নেতারা ঘটনাস্থলে না থাকলেও অনেককেই আসামি করা হয়। কিন্তু স¤প্রতি সেটা দেখা যাচ্ছে না।
বিএনপির ২৮ অক্টোবরের কর্মসূচিকে ঘিরে নেতাকর্মীদের মাঠ দখলে রাখার নির্দেশনা দিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। দলের শীর্ষ নেতাদের মতে, ২৮ অক্টোবর বিএনপির এই মহাসমাবেশ ব্যর্থ করে দিতে পারলে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে তারা সরকার ও নির্বাচনবিরোধী আন্দোলনের সুযোগ পাবে না। তাই সেদিন চট্টগ্রামে প্রধানমন্ত্রীর কর্মসূচি থাকলেও ঢাকাকেও অরক্ষিত রাখবে না দলটি। ২৫ অক্টোবর থেকে পরবর্তী ১০ দিন পাড়া-মহল্লায় সতর্ক পাহারায় থাকবেন দলটির নেতাকর্মীরা।
আগামী নির্বাচনের আগে বিএনপি যেন আর আন্দোলনে সক্রিয় হতে না পরে এজন্য ক্ষমতাসীন দলের দায়িত্বপ্রাপ্তরা ইতিমধ্যে ২৫ অক্টোবর থেকে ৫ নভেম্বর পর্যন্ত দেশের সব পাড়া-মহল্লায় কড়া-সতর্ক থাকতে নেতাকর্মীদের প্রতি নির্দেশনা দিয়েছেন। এর বাইরে বিএনপির মহাসমাবেশকে ঘিরে বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মাধ্যমে অভিযান পরিচালনার পরিকল্পনাও আছে সরকারের।
তবে নতুন করে কাউকে গ্রেফতার করা হচ্ছে না বলে জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির যেসব নেতাদের বিরুদ্ধে পুরোনো মামলা আছে তাদেরই গ্রেফতার করা হচ্ছে। সন্ত্রাস ও হত্যার রাজনীতি বাংলার মাটি থেকে নির্মুল করতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে লড়াই অব্যাহত আছে বলে জানান তিনি।
গত ১৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে আয়োজিত সমাবেশ থেকে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ২৮ অক্টোবর ঢাকায় মহাসমাবেশের ঘোষণা দেন। ওই দিন মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশের মধ্য দিয়ে মহাযাত্রা শুরু হবে। সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত আমরা ফিরে যাব না। অনেক বাধা আসবে, বিপত্তি আসবে। সব বাধাবিপত্তি উপেক্ষা করে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ছুটে যেতে হবে।
সর্বশেষ গত বুধবার ঢাকার জনসমাবেশকে ঘিরে ঢাকায় ৩ শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। আর গত আড়াই মাসে প্রায় ৩ হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। রিজভী বলেন, দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে, গ্রেফতার করে সরকার ও আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী আতঙ্ক ছড়াতে চায়।
তবে আমরা এগুলোতে অভ্যস্ত হয়ে গেছি। হামলা, মামলা, গ্রেফতার আমাদের এখন রুটিন ওয়ার্কে পরিণত হয়েছে। ফলে এসব করে চলমান আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না। নেতাকর্মীদের মধ্যে ভীতি সঞ্চারের পরিবর্তে উজ্জীবনী শক্তি হিসেবে কাজ করে। যতই অত্যাচারের মাত্রা বাড়ছে তারা ততবেশি বদ্ধ পরিকর হচ্ছে সরকার পতন আন্দোলন সফল করতে।
ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল পৌর যুবদলের সদস্য সচিব মো. আক্তারুল ইসলাম বলেন, সরকারের নির্যাতন, হামলা, মামলার কারণে দীর্ঘদিন ধরেই আমরা এমনিতেই ঘর ছাড়া। আমাদের আর পেছনে ফেরার কোন সুযোগ নেই। নতুন করে মামলা, গ্রেফতার করে আমাদের ভয় দেখানোর কিছু নেই। এখন আমাদের সামনে বাঁচা-মরার প্রশ্ন। তাই এই যুদ্ধে জয়ী হওয়া ছাড়া আমাদের বিকল্প কিছু নেই।
বিএনপি সূত্রে জানা যায়, ১৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপির জনসমাবেশকে কেন্দ্র করে ব্যাপক ধরপাকড় শুরু করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সমাবেশের আগে প্রায় ৩ শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়। এর মধ্যে দলের সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুকে মঙ্গলবার রাতে গুলশানস্থ বাসভবন থেকে, তাঁতীদলের আহŸায়ক আবুল কালাম আজাদকে মিরপুরের শেওড়াপাড়া খেকে, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক কাজী ইফতেখারুজ্জামান শিমলকে মালিবাগ থেকে, যুবদলের সহ-প্রচার সম্পাদক আশরাফুল আলম ফকির লিংকন, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক সানোয়ার হোসেন, ছাত্রদলের সহ-সভাপতি মো. মহিউদ্দীন ও দিনাজপুর জেলা ছাত্রদলের সভাপতি রেজাউর রহমান রেজাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এছাড়া ঢাকার বাইরে থেকে জনসমাবেশে যোগ দিতে আসা বিভিন্ন জেলার নেতাকর্মীকে হোটেল, রাস্তা ও বিভিন্ন বাসা থেকে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়। এর মধ্যে কাকরাইলের মেরিনা আবাসিক হোটেল থেকে ৫১জনকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের মধ্যে- নোয়াখালী যুবদলের নুরুল আমিন খান, মঈন। কাকরাইলস্থ কর্ণফুলী গার্ডেন সিটির সামনে থেকে গাজীপুর স্বেচ্ছাসেবক দলের আশরাফ নেওয়াজ চৌধুরী শাওন, তোফাজ্জল হোসেন মুফাকে, কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে ভোলা যুবদলের মো. জামাল উদ্দীন লিটন এবং মো. খলিল, মো. মঞ্জু, মো. জাকির, মামুন, আজাদ ও মো. সবুজকে গভীর রাতে বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায় ডিবি পুলিশ।
ঢাকার বিভিন্ন ওয়ার্ডের নেতাদের মধ্যে- দক্ষিণের নজিবুল হক, মো. লিটন, গোরফান মজুমদার, মো. সেলিম খান, মো. নজরুল ইসলাম, মো. নোমান, মাহবুবুর রহমান, মো. শাহ আলম, মিজানুর রহমান পলাশ, নিরব হোসেন সুমন, আবুল হোসেন জনি, সমির হোসেন অপু, মো. রতন চৌধুরী, ওলি খান, মো. রিপন, মো. আরিছ, রতন চৌধুরী, অলি, মো. জহুরুল ইসলাম, মো. হিরোন, তোফাজ্জল হক ডালিম, জাবেদ হোসেন বাবু, মো. রাজ্জাক আলী, মো. সালাউদ্দীন, জামাল, জাকির হোসেন, দিদার মহসিন, খোরশেদ আলম, মো. লিয়ন, আলাল, মোসলেম উদ্দিন, মো. হাসান, মো. জিয়া, মো. বাবলা, মো. মনির হোসেন, মো. ইকবাল, মো. মোসলেম উদ্দীন, আলাল, শাজাহান, মোশারফ হোসেন।
ঢাকা মহানগর উত্তরের মো. জাকির হোসেন, মো. কামাল উদ্দীন, তারা মিয়া, মেহেদী হাসান দুলাল, নাসিমুল ইসলাম নাছিম, লিয়াকত আলী, জামাল উদ্দিন, রফিকুল ইসলাম, জাকির হোসেন, ফাহিম খান শাওন, মুরাদ কাদেরী, হিরা, আনোয়ার হোসেন, সোহাগ, হারুন অর রশিদ, মো. আজিজ, মো. শামীম, এস এম তাহের, মো. শিপন, আজাদ, মিলন ও বাতেনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
চট্টগ্রামের রকিবুল হাসান, মোহাম্মদ নাজিম উদ্দীন, মো. সোহেল, মো. তাজ, নূর মোহাম্মদকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মুন্সীগঞ্জের মিজানুর রহমান, টাঙ্গাইলের মনসুর তালুকদার, ডা. মঈন, লিয়াকত ভূঁইয়া, আনোয়ার হোসেন, ওবায়দুল্লাহ, বাসেত, হায়দার, খলিল, স্বপনসহ মোট ৫১ জন নেতাকর্মীকে কাকরাইল থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পরবর্তীতে এই জেলার মো. আলমগীর হোসেন আলম, দেলোয়ার হোসেন দুলাল, হাবিবুর রহমানসহ মোট ৫ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে।
এছাড়াও টাঙ্গাইলের কামরুজ্জামান ভ‚ঁইয়া জামাল, ইঞ্জি: আমিনুল ইসলাম, শাহাদাত খান, মোহাম্মদ হারেজ ও আব্দুর রশিদ খানসহ মোট ২৬ জন নেতাকর্মী ঢাকায় সমাবেশে আসার পথে আশুলিয়া থানা পুলিশ গ্রেফতার করে। গাজীপুর মহানগরের তাজুল ইসলাম ব্যাপারীকে তেজগাঁও থানায়, বরিশাল দক্ষিণের শফিউল আলম সফরুলকে ঢাকায়, যশোর জেলার রেজাউল করিমসহ ২২ জন নেতাকর্মীকে ঢাকাগামী বাস থেকে নামিয়ে আটক করে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
ফরিদপুরের জেনারুল শেখ, ঝিনাইদহের মো. সুরুজ্জামান সুরুজ, সাইফুজ্জামান রিন্টু মুন্সি, বিল্লাল হোসেন, মো. কাজল মালিতা, সুরুজ আলী ও মো. হাসান, ঝালকাঠির তৌহিদ আলম মান্না, সাইদুল কবির রানা, পারভেজ, জাফর, বাদল, তারেক, জাহিদ, শাকিল, জাহিদুল ইসলাম, মাহফুজ হাসান, রুশু চৌধুরী, রানা চৌধুরী, চাঁপাইনবাবগঞ্জের আশরাফ চেয়ারম্যান, রহমত চেয়ারম্যান, মানিকগঞ্জের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আতাউর রহমান আতা, আফজাল হোসেন খান পলাশ, আদনান খান, হাফিজুর রহমান মুন্সী, মিলন, রবি মেম্বার, রবিউল, আইয়ুব মিলিটারি ও বাহার।
নারায়ণগঞ্জের হোসেন মুন্সি, মাসুদুর রহমান মাসুদ, রাসেল মিয়া, মো. ফজলুর রহমান, মো. হারুন, নাসিক, মেহেদী, জাহিদ, রাকিব হাসান, ফরহাদ খন্দকার, আ. রাজ্জাক, জাহাঙ্গীর আলম বাবু, মো. আলী মিয়া, হারুন অর রশিদ হারুন, মো. খোরশেদ, মো. হারুন, কাউছার আহমেদ রানা, মেহেদী, জাহিদ।
নরসিংদীর জাকির হোসে, সুমন চৌধুরী, জাকির হোসেন, শাহীন মিয়া, রিয়াদ খান, আবুল কালাম, বিল্লাল হোসেন, সোলাইমান মিয়া, শাওন, রিয়াদ সৌরভ, রাজন, শাহীন, আকরাম ও কালামসহ মোট ১৫ জন। কিশোরগঞ্জের আরিফ, নীলফামারীর মো. আলী নূরানী, বাগেরহাটের নোমান, ময়মনসিংহের ছাইফ প্রিন্স, মোমেন ফকির, মনিরুজ্জামান, আব্দুল মোতালিব, আলতা খান ও রুবেল মিয়া, রাজশাহীর মো. আল-আমিন, রবিউল ইসলাম, শুক্কুর আলী, যুক্তরাজ্য বিএনপির আফজাল হোসেন খান, গোপালগঞ্জের আবুল বাশার, হাফিজুর রহমান হাফিজ, মাহফুজ হাসান, জুয়েল রানা ঢাকা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের বিষয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আব্দুস সালাম বলেন, চলমান গণআন্দোলনে আতংকিত হয়ে পুলিশসহ সরকারি এজেন্সিগুলোকে দিয়ে অবৈধ সরকার বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করতে উন্মাদ হয়ে গেছে।
গ্রেফতারের এই ঘটনা বর্তমান ভয়াবহ দুঃশাসনের আরেকটি বহিঃপ্রকাশ। তিনি বলেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রাক্কালে নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা দায়ের ও গ্রেফতার অশুভ ইঙ্গিতবাহী। দেশে আবারও জোর করে নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় যাওয়ার পাঁয়তারা করছে অবৈধ শাসকগোষ্ঠী।
দেশকে বিরোধী দলশুন্য করতে এবং এক ব্যক্তির একচ্ছত্র শাসন বজায় রাখতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীসহ সরকারদলীয় সন্ত্রাসীদের মাঠে নামানো হয়েছে। কিন্তু এবার প্রহসনের নির্বাচন করে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের আওয়ামী চক্রান্ত রুখে দিতে জনগণ রাজপথ কাঁপিয়ে তুলছে। অবৈধ সরকারের পদত্যাগসহ নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত জনগণ রাজপথের অবস্থান থেকে সরে দাঁড়াবে না।
আব্দুস সালাম বলেন, পতনের মুখে সরকার খড়কুটো ধরে বাঁচতে চাইছে। নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করে তারা নিজেদের পতন রোধ করার বৃথা চেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে। তাদের এহেন অপকর্মের সমুচিত জবাব জনগণ খুব শিগগিরই দিবে।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, মহাসমাবেশের আগে নেতা কর্মীদের কারাগারে প্ররেণ ও গণগ্রেফতারে এটাই প্রমাণিত হয় যে, সরকার ভয় পেয়েছে, ভীত হয়েছে এবং তারা কাঁপছে। এত মামলা, এত গ্রেফতার, এত নির্যাতন, এত অত্যাচার, তারপরেও কি নেতাকর্মীদের দমাতে পেরেছে।
নেতাকে গ্রেফতার করে নিয়ে গেছে তাতে কি ভয় পেয়েছে? মামলা দিয়ে হামলা করে, রেইড করে গ্রেফতার করে আর বাংলাদেশের মানুষকে ঠেকিয়ে রাখা যাবে না, এটাই হচ্ছে মূল কথা। তিনি বলেন, এভাবে সরকারের শেষ রক্ষা হবে না। কারণ দেশের মানুষ এখন ঐক্যবদ্ধ হয়েছে, সকল রাজনৈতিক দলও ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। সরকারের পতন নিশ্চিত করে, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন আদায় করা হবে।
অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনো কিছু কপি করা যাবে না
Website Design & Developed By BATL