নিজস্ব প্রতিনিধি
আত্রাই (নওগাঁ) :
নওগাঁর আত্রাইয়ে বিশা ইউনিয়নের সাবেক ও বর্তমান দুই চেয়ারম্যানের দ্বন্দ্বের কারণে অতিষ্ঠ অত্র ইউনিয়নবাসীর। একসময় রক্তাক্ত জনপদ হিসেবে পরিচিত ছিল নওগাঁর আত্রাই উপজেলা। যেখানে প্রায় প্রতিদিনই ছিল সর্বহারার মানুষ হত্যার লীলা খেলা। পরবর্তী প্রয়াত এমপি ইসরাফিল আলমের হাত ধরে আত্রাই শান্তি ফিরে পেলেও আবার দুই সাবেক ও বর্তমান চেয়ারম্যানের দ্বন্দ্বের কারণে সর্বহারা উত্থানের আশঙ্কা করছে এলাকাবাসী।
সরেজমিনে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, ২০০৮ সালে সরকার পরিবর্তনের মধ্যে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসে এবং প্রয়াত এমপি ইসরাফিল আলমের হাত ধরে শান্তি ফিরে আসে আত্রাইয়ে। তবে এই অঞ্চলে সাবেক চেয়ারম্যান মান্নান মোল্লা ও বর্তমান চেয়ারম্যান তোফার দ্বন্দ্ব রয়েই যায়। যার ফলে মাঝে মধ্যে দুই পক্ষ মারামারি এমনকি হত্যার উদ্দেশ্যেও আঘাত করতেও কেও পিছু পা হয় না। বিগত দিনে মান্নান মোল্লাকে দুই বার হত্যার উদ্দেশ্যে আঘাত করে বর্তমান চেয়ারম্যান তোফার লোকজন। তবে সাবেক চেয়ারম্যান মান্নান মোল্লার লোকজনও তোফার সমর্থকদের মারধর ও হত্যা চেষ্টা চালায়। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর দুই বার তোফার লোকজনদের ওপর হামলা চালায় মান্নান মোল্লার অনুসারীরা। এছাড়াও তোফা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার এক বছর পর দুর্নীতির কারণে তার ইউনিয়নের বেশ কয়েকজন ইউপি সদস্য অনস্থা প্রকাশ করেছিল যা আত্রাইয়ে আলোচিত হয়েছিল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা জানান, মান্নান ও তোফার দ্বন্দ্বের কারণে আমরা হাট বাজারে চরম আতঙ্কে থাকি কারণ কখন কোন পক্ষ মারামারি শুরু করে। এদের পক্ষ না নিলেও এলাকায় থাকা যায় না উল্টো দুই গ্ৰুপের অত্যাচার শুরু হয়। অনেক স্থানীয় যুবক এলাকাছাড়া। প্রশাসনের তরফ থেকে তেমন কোন প্রতিকার পাওয়া যায় না।
এই বিষয়ে সাবেক চেয়ারম্যান মান্নান মোল্লার সাথে কথা হলে তিনি জানান, আমাকেই তোফার লোকজন দু'বার হত্যা করার জন্য আঘাত করেছে। এতে ক্ষীপ্ত হয়ে আমার লোকজন তাদের উপর হামলা চালায়। আমাদের দুই পক্ষ থেকে মামলা হয়েছে তা বর্তমান চলমান।
তোফার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনো কিছু কপি করা যাবে না
Website Design & Developed By BATL