৩১-জানুয়ারি-২০২৫
৩১-জানুয়ারি-২০২৫
Logo
রাজশাহী

কামারখন্দে ঐতিহ্যবাহী পিঠা উৎসব

প্রতিনিধি

প্রকাশিতঃ ২০২৪-০১-২২ ১৬:০৩:১১
...

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
সিরাজগঞ্জের কামারখন্দের প্রত্যন্ত ভদ্রঘাটে অনুষ্ঠিত হয়েছে দিন ব্যাপী পিঠা উৎসব। রবিবার বিরল ও বিপন্ন প্রজাতির বৃক্ষ সংগ্রহ কারী বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার প্রাপ্ত বৃক্ষ প্রেমিক মাহবুব পলাশের উদ্যোগে এ পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়। উৎসবমুখর পরিবেশে ঐতিহ্যের উচ্ছ্বাসে মুখরিত পিঠা উৎসব। সব শ্রেণি-পেশার মানুষ আসছে পিঠা উৎসবে। রাজশাহী রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি বিজয় বসাক এ পিঠা উৎসবের উদ্বোধন করেন।উদ্বোধনকালে তিনি বলেন, বাঙালির ঐতিহ্য প্রবাহেরই একটি অংশ হচ্ছে পিঠা। এ দেশের লোকসংস্কৃতিরও অংশ সবার প্রিয় এই খাদ্যটি। আর গ্রামীণ মায়েদের হাতে বানানো প্রতিটি পিঠায় থাকে প্রাণের ছোঁয়া, মিশে থাকে আবেগ- এটি পৃথিবীতে বিরল।

তিনি আরো বলেন, বৃক্ষ প্রেমিক মাহবুব পলাশ এই পিঠা উৎসবের আয়োজন করায় তাকে ধন্যবাদ জানাই। কারণ আমাদের বাঙালিদের এই পিঠার সাথে মিশে রয়েছে নানা ইতিহাস আর ঐতিহ্য যা কালের বর্তমানে হারিয়ে যেতে বসেছে। তার এমন আয়োজন বাঙালি নতুন প্রজন্মের মাঝে ঐতিহ্য ধরে রাখবে বলে মনে করেন তিনি। বৃক্ষ প্রেমিক মাহবুব পলাশ বলেন, হাজার বছরের সমৃদ্ধশালী সংস্কৃতির উত্তরাধিকারী আমরা। আমরা খাদ্য রসিক বাঙালি প্রাচীনকাল থেকে প্রধান খাদ্যের পরিপূরক মুখরোচক অনেক খাবার তৈরি করে আসছে। তবে পিঠা সর্বাধিক গুরুত্বের দাবিদার। শুধু খাবার হিসেবেই নয় বরং লোকজ ঐতিহ্য এবং নারী সমাজের শিল্প নৈপুণ্যের স্মারক রূপেও পিঠা বিবেচিত হয়।

এদেশের নারী সমাজ লোকজ শিল্পকর্মে অত্যন্ত নিপুণ এবং সুদক্ষ।তিনি আরো বলেন, আমরা বাঙালিরা চিরকালই অতিথি পরায়ণ। সামাজিক বন্ধনটিও শক্ত আমাদের। এই প্রত্যন্ত এলাকায় পিঠা উৎসবের আয়োজন করেছি এতে করে গ্রামের শিশু কিশোর, যুবক-বৃদ্ধা এখানে ছুটে আসছে। আনন্দ চিত্বে পিঠা উৎসবে অংশগ্রহণ করতে। পিঠা খাওয়ার পাশাাপশি আনন্দ করবে-সে আনন্দের ভাগ সবাই পাবে। এ জন্যই শীতে আমার এই আয়োজন। বাঙালির হাজার বছরের ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতির সঙ্গে মিশে আছে পিঠা। যখনই পিঠা-পায়েস, পুলি কিংবা নাড়ুর কথা উঠে তখনি যেন শীত ঋতুটি আমাদের চোখে ও মনে ভেসে ওঠে। প্রতি শীতেই গ্রাম বাংলার ঘরে ঘরে শুরু হয় পিঠা পুলির উৎসব। তাছাড়াও পিঠা উৎসবে ভাপা পিঠা, দুধের পিঠা, দইলা পিঠা, কুশলী পিঠা, চিতাই পিঠা, পুলী পিঠা, পাটি সাপটা, দুধ কুলি, কুলি পিঠা সহ বিভিন্ন পিঠার আয়োজন করা হয়।

এসময় রায়গঞ্জ সার্কেল বিনয় কুমার,কামারখন্দ থানার ওসি, মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট বিমল কুমার, ও অনেক গুনি মানুষ উপস্থিত ছিলেন।অনুষ্ঠান শেষে প্রধান অতিথি রাজশাহী রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি বিজয় বসাক দুঃস্থ অসহায়দের মাঝে শীতবস্ত্র হিসাবে বিনামূল্যে কম্বল বিতরণ করেন।