২৪-নভেম্বর-২০২৪
২৪-নভেম্বর-২০২৪
Logo
রাজশাহী

দেশের সবনিম্ন ৫ ডিগ্রি তাপমাত্রায় কাঁপছে পঞ্চগড়

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশিতঃ ২০২৪-০১-২৮ ১৫:১৫:৪৭
...

পঞ্চগড় প্রতিনিধি :
পঞ্চগড়ে একদিন পর ফের তাপমাত্রা পারদ নেমেছে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এ তাপমাত্রায় দেশের এই সীমান্ত হিমাঞ্চল জেলায় বইছে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ। টানা শৈত্যপ্রবাহ ও কুয়াশায় বিপর্যস্ত পরিস্থিতিতে নাজেহাল জনজীবন।

রোববার (২৮ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৫ ডিগ্রি সেলিয়াস। এর একদিন আগে গত শুক্রবার তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রা রেকর্ডের তথ্যটি জানান জেলার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যাবেক্ষনাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ।

বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন এ সীমান্ত জনপদ। হিম বাতাসে ঝরছে শীতের পারদ। শহর ও গ্রামীণ সড়কগুলোতে যানবাহনগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে। শীতের তীব্রতায় জর্জরিত শিশু ও বৃদ্ধরা। দুূর্ভোগে পড়েছে বিভিন্ন গৃহপালিত ও বন্য প্রাণীরাও।

লাগাতার শীতের কারণে দূর্ভোগ বেড়েছে খেটে খাওয়া মানুষদের। কাজকর্ম কমে যাওয়ায় দিন কাটছে অভাব-অনটনের ভেতর। প্রয়াজনের বাইরে শহরের অভিজাত মানুষজন ঘর থেকে বের না হলেও জীবিকার তাগিদে নিম্ন আয়ের মানুষের শীত উপেক্ষা করেই কাজে যেতে হচ্ছে।

১০ ডিগ্রির নিচে তাপমাত্রা রেকর্ড হওয়ায় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান ও বন্ধ ঘোষণা করেছে জেলার শিক্ষা কার্যালয়। তবে প্রাইভেট, কোচিং ও শিশু শ্রেণির মাদরাসাগুলোতে শিক্ষার্থীদের যেতে দেখা গেছে।

এদিকে শীতের কারণে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে নিউমোনিয়া, অ্যাজমা, হাঁপানি, শ্বাসকষ্ট ও ডায়রিয়াসহ শীতজনিত বিভিন্ন রোগ। এসব রোগে আক্রান্ত হয়ে জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন অনেকেই। আয় কমে যাওয়ায় অনেকে শীতজনিত রোগ আক্রান্ত হওয়ার পরও চিকিৎসার ব্যয় মেটাতে হিমশিম খাচ্ছেন।

চিকিৎসকরা বলছেন, হাসপাতালে শীতজনিত রোগ নিয়ে প্রচুর রোগী আসছে। বিশেষ করে সর্দি-কাশি, শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হচ্ছে অনেক শিশু। শীত বাড়লে এই রোগ আরও বাড়বে। শীতজনিত রোগ থেকে শিশুদের রক্ষা করতে তাদের ঠান্ডা থেকে দূরে রাখতে হবে।

জেলার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যাবেক্ষনাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ বলেন, রোববার (২৮ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় এ জেলায় ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এর আগে গত শুক্রবার ৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল। এ তাপমাত্রা রেকর্ডে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বইছে এ জেলায়।

জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম বলেন, শীতপ্রবণ জেলা হিসেবে প্রতি বছর পঞ্চগড়ে সরকারি-বেসরকারিভাবে পর্যাপ্ত কম্বল বিতরণ করা হয়। এবারও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল এবং ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয় থেকে এ পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ২৮ হাজার শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। বেসরকারিভাবেও এ অঞ্চলের শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হচ্ছে।