নিজস্ব প্রতিনিধি
ঈশ্বরদী (পাবনা) :
পাবনার ঈশ্বরদীতে নির্মানাধীন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ইউনিট চলতি ২০২৪ সালের শেষ নাগাদই চালু হবে। দ্বিতীয় ইউনিট চালু হবে ২০২৫ সালে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, পারমাণবিক জ্বালানি আমদানির পর এখন কমিশনিং এর জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প। রাশিয়াও নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই বাংলাদেশকে প্রকল্পটি বুঝিয়ে দিতে পূর্ণ নিশ্চয়তা দিয়েছে।
পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের কর্মকর্তার জানান, চলতি বছরের শেষ নাগাদ প্রথম ইউনিটের বিদ্যুৎ উৎপাদন কার্যক্রম চালু হতে পারে। পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের জ্বালানি ইউরেনিয়াম ইতোমধ্যেই প্রকল্প এলাকায় চলে এসেছে। এখন রি-কমিশনিং স্টেজ চলছে। এরমধ্য দিয়ে আরও তিনটি ধাপ শেষ করলে বাণিজ্যিকভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদনে সম্ভব হবে। একই সঙ্গে বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের কাজ চলমান রয়েছে।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান বলেন, রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। ২০২৫ সালেই পরমাণু বিদ্যুৎ পাবে দেশ। পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের জ্বালানি (ইউরেনিয়াম) চলে আসা মানেই আমাদের দেশ এখন অনেক উচ্চতায় পৌঁছে গেছে। আমরা এখন বিশ্বের ৩৩তম পরমাণু শক্তিসম্পন্ন দেশ। চলতি বছর ২০২৪ সালে প্রথম ইউনিট এবং ২০২৫ সালে দ্বিতীয় ইউনিটের কাজ শেষ হবে ।
ঈশ্বরদীর রূপপুরে হার্ডিঞ্জ সেতুর অদূরে পদ্মা নদীর তীরে ১৯৬১ সালে এই প্রকল্পের জন্য জমি অধিগ্রহণ করা হয়। পাকিস্তান সরকার পরবর্তীতে এ বিষয়ে আর কোন পদক্ষেপ নেননি। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২-৭৪ সালের দিকে এখানে ২০০ মেগাওয়াট পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য আলোচনা শুরু হলেও তা আর আলোর মুখ দেখেনি। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাস্তবায়নের জন্য উদ্যোগ গ্রহন করেন। ২০১৩ সালের অক্টোবওে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর ভিত্তিস্থাপন করেন। ২০১৫ সালের ২৫ ডিসেম্বর রুশ রাষ্ট্রিয় পারমাণবিক সংস্থা রসাটম বাংলাদেশের পরমাণু শক্তি কমিশন প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য চুক্তি করেন।
২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরের শেষ নাগাদ শুরু হয় পারমাণবিক জ্বালানি ইউরেনিয়াম বাংলাদেশে নিয়ে আসার প্রক্রিয়া শুরু হয়। রোসাটমের উদ্যোগে সাতটি ধাপে ১৬৮টি ইউরেনিয়াম এর অ্যাসেম্বলি পৌঁছেছে রূপপুরের প্রকল্প এলাকায়।ছ এখন।
রাশিয়ার আর্থিক ও কারিগরি সহায়তায় নির্মাণাধীন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের দুটি ইউনিটে স্থাপিত হচ্ছে ৩+ প্রজন্মের রুশ ভিভিইআর ১২০০ রিয়্যাক্টর। প্রকল্পটির মোট উৎপাদন ক্ষমতা হবে ২,৪০০ মেগা-ওয়াট।
অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনো কিছু কপি করা যাবে না
Website Design & Developed By BATL