২১-নভেম্বর-২০২৪
২১-নভেম্বর-২০২৪
Logo
রাজশাহী

সিরাজগঞ্জে তিনটি খাদ্যগুদাম দেড় মাসে একমুঠো ধানও পায়নি

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশিতঃ ২০২৪-০১-১৭ ১৮:০৫:৫২
...

তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ)

সিরাজগঞ্জের তিনটি সরকারি খাদ্য গুদামে দের মাসে একমুঠো ধানও সংগ্রহ করতে পারেনি খাদ্য বিভাগ।জেলার উল্লাপাড়া, তাড়াশ ও কামারখন্দ উপজেলা খাদ্যগুদামে ধান সংগ্রহের এই চিত্র দেখা গেছে। তবে খাদ্য বিভাগের দাবি, জেলার অন্য চারটি গুদামে ৬৬ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহ করতে পেরেছে তারা।

বাজারের চেয়ে সরকার নির্ধারিত মূল্য কম হওয়ায় কৃষকরা সরাসরি হাটে আমন ধান বিক্রি করছেন। অন্য দিকে চালকল মালিকরা বলছেন, বাধ্য হয়ে খাদ্যগুদামে চাল দিতে গিয়ে লোকসান গুনতে হচ্ছে।

জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের ২৩ নভেম্বর সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে আমন ধান ও চাল সংগ্রহের অভিযান শুরু করে সরকার। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি এ অভিযান শেষ হবে। সরকারি গুদামে সংগ্রহের জন্য প্রতি কেজি চাল ৪৪ টাকা ও ধান ৩০ টাকা মূল্য নির্ধারণ করা হয়।

সিরাজগঞ্জ জেলায় সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে কেনার লক্ষ্যমাত্রা ২ হাজার ৭৫১ মেট্রিক টন ধান এবং চালকল মালিকদের কাছ থেকে ৭ হাজার ৩৬৭ মেট্রিক টন চাল। গুদামে চাল দিতে ২২৮ জন চালকল মালিক চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন।

৭ হাজার ৩৬৭ টন লক্ষমাত্রার বিপরীতে সংগ্রহ ৪ হাজার ৯৩৬ টন চাল।
এদিকে ধান-চাল সংগ্রহ শুরুর দেড় মাসে হয়ে গেলেও মাত্র ৪ হাজার ৯৩৬ মেট্রিক টন চাল সংগ্রহ করতে পেরেছে খাদ্য বিভাগ। কিন্তু জেলার তিনটি গুদামে এক মুঠো ধানও সংগ্রহ করতে পারেনি তারা।

স্থানীয় বাজার ঘুরে জানা গেছে, কৃষকরা প্রতি মণ ধান বিক্রি করছেন ১২৫০ টাকা থেকে ১৪৫০টাকা । তাড়াশ উপজেলার মাধাইনগর ইউনিয়নের ধানকুনটি গ্রামের কৃষক সাইদুর রহমান বলেন, তিনি ৭ বিঘা জমি থেকে ১১৫ মণ ধান পেয়েছেন। কিন্তু সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বাজারে বেশি মূল্য পাওয়ায় তিনি খাদ্যগুদামে ধান না দিয়ে বাজারে বিক্রি করেছেন। কৃষক আনোয়ার হোসেন ও আব্দুল মতিন কলেন , সরকারি গুদামে ধান দিতে গেলে বিল উত্তোলনসহ নানা ঝামেলায় পড়তে হয়। স্থানীয় বাজারে কোনো ঝামেলা নেই। দামও ভালো পাওয়া যায়। এজন্য খাদ্যগুদামে ধান না দিয়ে বাজরে বিক্রি করেছি।

সিরাজগঞ্জে ধান-চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা সম্পর্কে জানতে চাইলে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা রিয়াজুর রহমান রাজু বলেন, বাজারে অনেক সময় ধান চালের দাম বেশি থাকায় কৃষকেরা গোডাউনে ধান দিতে চান না। তবু আমরা আশাবাদি। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ধান-চাল ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে। তিনি আরও বলেন, কয়েকটি গুদামে ধান-চাল সংগ্রহের অনেকটা ভাটা পড়লেও অন্যগুলোতে সংগ্রহ চলছে।