মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে দীর্ঘ একযুগ বাবার বাড়িতে শিকল বন্দী হয়ে বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর প্রহর গুনছেন রুমা বেগম (৩০) নামের এক গৃহবধূ। স্বজন, পরিবারের সদস্য ও এলাকাবাসী রুমা বেগমের সুচিকিৎসার জন্য সমাজের মহানুভব ব্যক্তি ও প্রধানমন্ত্রীর আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
মানসিক ভারসাম্যহীন অসহায় গৃহবধূ রুমা বেগম জেলার আগৈলঝাড়া উপজেলার রাজিহার ইউনিয়নের চেঙ্গুটিয়া গ্রামের দিনমজুর মজিবর হাওলাদারের মেয়ে। জানা গেছে, গৌরনদী উপজেলার বাঘমারা গ্রামের সেকেন্দার হাওলাদারের ছেলে সেলিম হাওলাদারের সাথে রুমার বিয়ে হয়েছিলো। তাদের দাম্পত্য জীবনে প্রথম সন্তান জন্মগ্রহনের পর মারা যায়। এরপর দ্বিতীয় সন্তান জন্মগ্রহনের পর থেকে রুমা অস্বাভাবিক আচরন করা শুরু করেন। একপর্যায়ে সে মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পরে। পরবর্তীতে স্বামী সেলিম হাওলাদার তার স্ত্রী রুমাকে ডাক্তার-কবিরাজ দেখিয়ে সুস্থ করতে না পেরে বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। সেই থেকে বাবার বাড়িতে একটানা ১২ বছর যাবত শিকলবন্দী অবস্থায় রয়েছেন রুমা বেগম।
রুমার বাবা মজিবর হাওলাদার জানান, তিনবার সবার অজান্তে রুমা বাড়ি থেকে অন্যত্র চলে গিয়েছিলো। পরে অনেক খোঁজাখুজি করে তাকে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়েছে। মূলত ঘর থেকে বের হয়ে যাতে অন্যত্র হারিয়ে যেতে না পারে সেজন্য পায়ে শিকল বাঁধা হয়েছে। তিনি আরও জানান, মেয়ে জামাতা রুমাকে তাদের বাড়িতে রেখে যাওয়ার পর তারা সাধ্যমতো চিকিৎসা করিয়েছেন। তবে আর্থিক অস্বচ্ছলতার কারনে উন্নত চিকিৎসা করাতে পারেননি। রুমার উন্নত চিকিৎসার জন্য তিনি সমাজের মহানুভব ব্যক্তি ও প্রধানমন্ত্রীর আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনো কিছু কপি করা যাবে না
Website Design & Developed By BATL