কেরানীগঞ্জে ৯৮ ভরি স্বর্ণ লুট, কনস্টেবলসহ ৮ ডাকাত গ্রেপ্তার
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিতঃ ২০২২-০৯-১২ ১৭:৪৭:৫৫
কেরানীগঞ্জে পুলিশ পরিচয়ে তুলে নিয়ে ৯৮ ভরি স্বর্ণ ডাকাতির ঘটনায় লালবাগ থানার কনষ্টেবল মুন্সি কামরুজ্জামানসহ ৮ ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেছে কেরানীগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ। ডাকাতির ঘটনায় তাদের কাছ থেকে লুন্ঠিত ৫১ ভরি ৬ রতি স্বর্ণ ও স্বর্ণ বিক্রির ১৫ লাখ টাকাসহ বেশ কিছু মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে। । এছাড়াও ডাকাতির ঘটনায় ব্যবহৃত মাইক্রোবাসটি জব্দ করা হয়েছে।
আজ ১২ সেপ্টেম্বর (সোমবার) দুপুরে ঢাকা জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার মো: আসাাদুজ্জামান।
আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ হেল কাফী, কেরানীগঞ্জ সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহাবুদ্দিন কবীর, কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মামুনুর রশীদ।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার বলেন, গত ২ সেপ্টেম্বর মানিকগঞ্জের সিংগাইর থানার গোবিন্দল জামটি বাজারের সোলাইমান জুয়েলার্সের কর্মচারী বরুন ঘোষ ৮ পিস তেজাবী স্বর্ণ (গলানো স্বর্ণ) ওজন ৯৮ ভরি নিয়ে পুরান ঢাকার তাতিবাজারের এক স্বর্ণের দোকানে বিভিন্ন গহনা তৈরির জন্য আসেন। তাতিবাজারের স্বর্ণের দোকানটি বন্ধ থাকায় বরুন ঘোষ সেখান সিঙ্গাইর ফিরে যাওয়ার জন্য একই পথে রওয়ানা করেন। ফিরতি পথে জিনজিরা জনি টাওয়ারের সামনে পুলিশের পোশাক পরিহিত একদল ডাকাত পুলিশ পরিচয়ে বরুনের কাছে অবৈধ মালামাল আছে এমন অভিযোগে তাকে জোর করে মাইক্রোবাসে তুলে নেয়। ডাকাতরা গাড়ীতে তুলে বরুন ঘোষের চোখ মুখ বেধে ফেলে এবং মারতে শুরু করে। এক পযায়ে ডাকাতরা বরুনের কাছে থাকা ৮টি স্বর্ণের বার, স্বর্ন চালানের কাগজপত্র ও নগদ ৩ হাজার টাকা কেড়ে নিয়ে বিভিন্ন স্থানে ঘুরিয়ে কেরানীগঞ্জের ঝিলমিল আবাসন প্রকল্পের নির্জন স্থানে ফেলে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় পরদিন স্বর্নের মালিক হাবু মিয়া বাদী হয়ে কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় একটি মামলা করেন।
সুপার সুপার আরও বলেন, ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ এবং তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে প্রথমে আমরা ডাকাতির ঘটনায় ব্যবহৃত মাইক্রোবাসটি সনাক্ত করতে সক্ষম হই। এরপর আশুলিয়া, সাভার ও ডিএমপির বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৮ ডাকাতকে গ্রেপ্তার করা হয়। ডাকাতদলে একজন পুলিশ সদস্য ও এক নারী রয়েছেন। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- লালবাগ থানার কনস্টেবল মুন্সি কামরুজ্জামান, মো: শফিকুল ইসলাম ওরফে সুমন, মো: রহমান, উত্তম মজুমদার, মো: জাকির হোসেন, মো: শরীফ, আনন্দ পাল, নাহিদা নাহার মেমী।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ডাকাতিতে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।
কেরানীগঞ্জ সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহাবুদ্দিন কবীর বলেন, পুলিশ সদস্য কামরুজ্জামান কিভাবে ডাকাতদলের সঙ্গে যুক্ত হলেন? এই দলটি অন্য কোন ডাকাতিতে জড়িত কিনা? দলে কারা কারা আছে? এসব বিষয়ে জানতে গ্রেপ্তারকৃতদের আরও জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন আছে। যে কারনে আসামীদের আদালতে উপস্থাপন করে রিমান্ডের আবেদন জানানো হবে।