টাঙ্গাইলের নাগরপুরে যমুনা নদীর অব্যাহত ভাঙ্গণে বিলীন হয়ে যাচ্ছে বসত-বাড়ি, রাস্তাঘাট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ফসলি জমিসহ বিস্তির্ণ এলাকা। নদীর এমন ক্রমাগত ভাঙনে চরম দুশ্চিন্তা ও অনিশ্চয়তায় দিন কাটাচ্ছে নদী পারের লাখো মানুষ।
সরেজমিনে দেখা যায়, সলিমাবাদ ইউনিয়নের চর সলিমাবাদ, পাইকশা, মাইঝাইল, ধুবড়িয়া ইউনিয়নের বলারামপুর, ডিজিটাল বাজার, দপ্তিয়র ইউনিয়নের নিশ্চিন্তপুর এলাকা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এসব এরাকার মানুষগুলো কেউ ভিটে-বাড়ি সরানোর কাজে ব্যস্ত, অশ্রুসিক্ত নয়নে কেউ কেউ তাকিয়ে আছে নদীর দিকে ! ভাঙ্গণ থেকে বাঁচতে অন্যত্র চলে যাচ্ছে শতাধিক পরিবার।
ব-দ্বীপ খ্যাত এই উপজেলার একদিকে রাক্ষসী যমুনা, আরেকদিকে ধলেশ্বরী নদী। এই নদী দুটো কখন কী করে, বলা কঠিন। আরো কত ঘর-বাড়ি এবার নদীগর্ভে বিলীন হবে তা অনুমান করতে পারছেনা এ উপজেলার মানুষ।
স্থানীয়দের জানান, প্রতিবছর বন্যার মৌসুমে পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে বালুর বস্তা (জিও ব্যাগ) ফেলার মতো সান্তনামূলক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। এতে স্থায়ী ভাঙন বন্ধ করা সম্ভব নয়। এখানে এক স্থানে ভাঙন বন্ধ হলে আরেক স্থানে ভাঙন শুরু হয়।
তারা আরও জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্তাব্যক্তিরা নদী ভাঙনের কষ্টের বাস্তবতা থেকে যোজন যোজন কিলোমিটার দূরে অবস্থান করে।
স্থানীয় কবির হোসেন বলেন, আজ পর্যন্ত জনপ্রতিনিধিরা কেউ কোনো বড় পদক্ষেপ গ্রহণ করে নাই।
ধুবড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান শাকিল বলেন, আমি কয়েকদিন আগেই ভাঙ্গণ কবলিত এলাকা পরিদর্শনে গিয়েছিলাম। বর্তমানে পরিষদে কোনো বাজেট নেই। আমি উপজেলা প্রশাসনকে বিষয়টি জানিয়েছি তারা ঈদের পর ব্যবস্থা নিবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন।
নাগরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ওয়াহিদুজ্জামান মুঠোফোনে জানান, আমি ভাঙ্গণ কবলিত এলাকা পরিদর্শন করে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি, তারা তারা যা পদক্ষেপ নেওয়ার নিবে।
ধুবড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান আমাকে লিখিত ভাবে ভাঙ্গন সমস্যা সম্পর্কিত কিছু অবহিত করে নাই। চেয়ারম্যান মৌখিক ভাবে বলেছে বন্যায় ভাঙন হতে পারে। এখন বিষয়টি জানলাম, আমরা অচিরেই ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করবো। এরপর সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে আমরা জানিয়েছি। তারা যা পদক্ষেপ নেওয়ার নেবে।
অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনো কিছু কপি করা যাবে না
Website Design & Developed By BATL