নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সদ্য ভারত সফরে সেদেশের সরকার বাংলাদেশকে ট্রানজিট ব্যবহারের প্রস্তাব দেওয়ায় এখন ভুটানের সঙ্গে আমাদের সরাসরি সড়ক যোগাযোগ স্থাপন হবে। এতে উভয় দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য ও পর্যটন খাতে আগ্রহ বাড়বে বলে জানালেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
গতকাল বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রীর অফিস কক্ষে ভুটানের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব দেব দাশো কর্মা শেরিনের নেতৃত্বে ৯ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠককালে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে বাণিজ্য সচিব পর্যায়ের ৮ম সভা উপলক্ষে ঢাকা সফর করছে। সচিব পর্যায়ের দুদিনব্যাপী সভা বুধবার শেষ হয়েছে। প্রতিনিধিদলের সদস্যরা গতকাল বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী আরো বলেন, ভুটান ও অন্যান্য প্রতিবেশি দেশের সাথে আকাশ পথে যোগাযোগ বাড়াতে সৈয়দপুর বিমানবন্দরকে আঞ্চলিক বিমানবন্দর হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে এবং সেখানে প্রয়োজনীয় উন্নয়ন কাজ চলছে। তিনি বলেন, সৈয়দপুর বিমানবন্দর এবং বাংলাবান্ধা ও বুড়িমারি স্থল বন্দরের মাধ্যমে আঞ্চলিক বাণিজ্য ও যোগাযোগ বৃদ্ধি পাবে। একই সাথে ভারতের মধ্য দিয়ে ভুটানের সঙ্গে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ উভয় দেশের জন্য লাভজনক হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
টিপু মুনশি বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ভুটান প্রথম স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদান করে। আমরা সবসময় সেটি কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করি। তিনি চার্টার্ড এ্যাকাউনটেন্সি বিষয়ে বাংলাদেশে লেখাপড়ার সুযোগ নিতে ভুটানের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশে এ বিষয়ে উন্নত মানের শিক্ষা ব্যবস্থা রয়েছে। বাংলাদেশ-ভুটান অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরের ফলে উভয় দেশের জন্য নতুন যুগের সূচনা হয়েছে।
ঢাকায় গত ১৩ ও ১৪ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ-ভুটান সচিব পর্যায়ের ৮ম সভা অনুষ্ঠত হয়। সভায় ভুটান এবং বাংলাদেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি বাস্তবায়ন জোরদার করতে বাংলাদেশ-ভুটান ট্রানজিট এগ্রিমেন্ট এবং প্রটোকল চূড়ান্ত হয়েছে। বাংলাদেশ-ভুটান এগ্রিমেন্ট এবং প্রটোকলের বাস্তবায়ন সংক্রান্ত আলোচনা, বিশেষ করে তৃতীয় দেশের মধ্য দিয়ে যোগাযোগ সহযোগিতা এবং বাণিজ্য সহজীকরণ সংশ্লিষ্ট উদ্যোগ গ্রহণসহ একাধিক বিষয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা ও সিদ্ধান্ত হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ-ভুটান অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি সম্পাদন করে। এই চুক্তি কার্যকর করতে গত ১ জুলাই উভয় দেশ এসআরো জারি করেছে। এর মাধ্যমে ভুটানের ৩৪টি পণ্য বাংলাদেশের বাজারে এবং বাংলাদেশের ১০০টি পণ্য ভুটানের বাজারে শুল্কমুক্ত সুবিধা পাবে।
অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনো কিছু কপি করা যাবে না
Website Design & Developed By BATL