গেলো বছর করোনার কারণে দীর্ঘদিন লকডাউনের কারণে আর্থিকভাবে মারাত্নক বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন গারো পাহাড়ী অধ্যুষিত হালুয়াঘাট উপজেলার মধ্য ও নিম্নআয়ের মানুষেরা। লকডাউনকালীন বিপর্যয় কাটিয়ে উঠতে অনেকটাই জীবনযুদ্ধ করছিলেন এই উপজেলার নিম্ন ও নিম্ন মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষ।
এমন বাস্তবতায় দেশে পূর্বের সকল রেকর্ড ছাড়িয়ে তৃতীয় দফায় বেড়েছে করোনা সংক্রমণ। করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রনে আনতে আগামী বোধবার (১৪ এপ্রিল) থেকে এক সপ্তাহের লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার এমন বার্তা দিয়েছেন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ও জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
ফের লকডাউনের এই সিদ্ধান্ত সাধারণ মানুষের কাছে যেনো অনেকটা ‘মরার উপর খাড়ার ঘা’ হয়ে দেখা দিয়েছে। গত বছরের লকডাউনে অনেকেই চাকুরি হারিয়েছেন। এবারও যদি সেই চিত্র দেখা যায় তাহলে বিপাকেই পড়ে যাবেন সাধারণ মানুষেরা। সবমিলিয়ে কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়েছেন এই উপজেলার নিম্ন ও নিম্নবিত্ত শ্রেণীসহ সংখ্যাগরিষ্ট মানুষেরা।
লকডাউনের খবরে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটের বিভিন্ন এলাকার দিনমজুর, রিকশা-ভ্যানচালক, ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীরাও। এমনকি এই খবরে সবচেয়ে বেশি দুঃশ্চিন্তায় রয়েছেন কৃষকরা। বৈশাখ মাসকে সামনে রেখে কষ্টের সোনালী ধান ঘরে তুলতে আগাম প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তারা। ধান বিক্রির জন্য চিন্তায় কৃষকরা। তবে লকডাউন হলে দুরপাল্লার গণপরিবহন চলাচল বন্ধ হলে মারাত্নক ক্ষতির সম্মুখীন হবেন তারা। যদিও লকডাউনে গণপরিবহন বন্ধ থাকবে কি না সেটি প্রজ্ঞাপণ জারি হলেই বুঝা যাবে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। যদি দুরপাল্লার গণপরিবহন বন্ধ থাকে তবে শ্রমিক সংকট দেখা দিবে। অন্য দিকে ধান বিক্রির জন্য দূরচিন্তায় কৃষক, ফলে কষ্টের সোনালী ধান সঠিক সময়ে ঘরে তুলতে ও ন্যায্য মূল্য পেথে হিমশিম খেতে হবে কৃষকদের।
এদিকে, গেলো বছর হালুয়াঘাট উপজেলায় লকডাউন চলাকালে সরকারের পাশাপাশি, বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক সংগঠন ও ব্যক্তিবর্গ খাদ্যসামগ্রীর পাশাপাশি আর্থিক অনুদান বিতরণ করেছিলেন। যা অনেকটা রেকর্ড পরিমাণ বলা যায়। তবে এ বছর সেসব সাহায্য পাওয়া যাবে কিনা সেটা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।
অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনো কিছু কপি করা যাবে না
Website Design & Developed By BATL