সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার যাদুকাটা নদীতে নির্মিত শাহ আরেফিন(রাঃ)-অদ্বৈত মহাপ্রভু মৈত্রী সেতুর কাজ ৫ বছরেও শেষ করতে পারেনি সংশ্লিষ্টরা। কিন্তু নির্দেশনা ছিল ৩০মাসের মধ্যে সেতুর কাজ শেষ করার।
ফলে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা,আর্থসামাজিক উন্নয়নসহ কোনো পরিবর্তন হচ্ছে না৷ এদিকে বিশাল নদী পারাপারে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন পর্যটকসহ তিনটি উপজেলার হাজার হাজার মানুষ।
সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানাযায়, এপারে গড়কাটি(পশ্চিম)বোত্তাশাহ মাজার,ইসকন মন্দির,শিমুল বাগান,বারেকটিলাসহ বিভিন্ন পর্যটন স্পষ্ট ওপারে (পূর্ব)শাহ আরেফিন(রঃ)আস্তানা,পনতীর্থ উৎসব কেন্দ্র ও অদৈত্ব মহাপ্রভুর মন্দির,মাঝে যাদুকাটা নদী। এই নদীকে ঘিরে হাজার হাজার মানুষের জীবন জীবিকার অবলম্বন খোঁজে পায় বালু ও পাথর উত্তোলন করে। কিন্তু নদীতে সেতু না থাকায় নদী পারাপারে দূর্ভোগের শেষ নেই জেলার তিনটি উপজেলার(মধ্যনগর,ধর্মপাশা ও তাহিরপুর)বাসিন্দাদের।
তবে বহু প্রতিক্ষিত এ তিনটি উপজেলার বাসিন্দাদের কাংঙ্খিত স্বপ্ন পুরণের ধার প্রান্তে এসেও স্বপ্ন পুরন হচ্ছে না। সেতুটির নির্মাণ কাজ ৩০মাসের মধ্যে শেষ করার নির্দেশনা থাকলেও সংশ্লিষ্টরা তা আমলেই নিচ্ছে না। নানান অজুহাতে সময় ক্ষেপন করে জনদুর্ভোগ বাড়িয়ে দিয়েছে।
এলাকাবাসীর সাথে কথা বললে তারা জানায়,উপজেলার যাদুকাটা নদীর উপর নির্মাণাধীন সেতু চালু হলে তিনটি শুল্ক বন্দর(বড়ছড়া,চারাগাঁও,বাগলী)স্থল বন্দর থেকে কয়লা,চুনাপাথর পরিবহন,পর্যটন স্পট শিমুল বাগান,শহীদ সিরাজলেক,বারেকটিলা,টাঙ্গুয়ার হাওরে প্রতিদিনই হাজার হাজার পর্যটক ও ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন যানবাহনে করে সহজে আসতে পারবেন। জেলার তাহিরপুর, ধর্মপাশা,মধ্যনগর উপজেলার সীমান্ত সড়ক দিয়ে জেলা সদরের সাথে ও মধ্যনগর, ধর্মপাশা,নেত্রকোণা,ময়মনসিংহ হয়ে ঢাকার সাথে যোগাযোগ সহজ হবে। সেতুটি চালুর পর এলাকার ব্যাপক উন্নয়ন হবে। সেতুটি নির্মাণ কাজ শেষ না করায় দুর্ভোগের মধ্যে আছেন সবাই।
তাহিরপুর উপজেলা প্রকৌশলী কার্যালয় সূত্রে জানাযায়, এলাকাবাসী দীর্ঘ সময় ধরে যাদুকাটা নদীর উপর সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসছিলেন। জনগনের দাবির প্রেক্ষিতে সরকার যাদুকাটা নদীর উপর সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয় ও আনুষ্ঠানিক ভাবে যাদুকাটা নদীর উপর ‘শাহ আরেফিন(রাঃ)ও অদ্বৈত মহাপ্রভু’ নামে সেতু নির্মাণ করছে সরকার। ৭৫০মিটার দৈর্ঘ্যের সেতুটি নির্মাণে ব্যয় হবে ৮৫কোটি ৮৬ লাখ টাকা। নির্মাণকাজ পেয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তমা কনস্ট্রাকশন। ২০১৮সালের মার্চ মাসে সেতুর নির্মাণকাজ শুরু করে ৩০মাসের মধ্যেই এই সেতুটির কাজ শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু নির্মাণকাজের মেয়াদ শেষ হলেও সেতুটির ৭৬শতাংশ কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। সেতুর ১৫টি পিলার ও ৭৫ টি গার্ডারের মধ্যে ৫৩ নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়াও ব্রিজের অন্যান্য কাজ চলমান রয়েছে।
বাদাঘাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন বলেন,সেতু নির্মাণ কাজ শেষ হলে উপজেলার তিনটি স্থলবন্দর,পযর্টন স্পট,এলাকার যোগাযোগ ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থার বৈপ্লবিক পরিবর্তনের পাশাপাশি পর্যটনসমৃদ্ধ উপজেলা হিসেবে আরও ব্যাপকভাবে পরিচিতি পাবে। কিন্তু নির্মাণ কাজ ধীরগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে।
অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনো কিছু কপি করা যাবে না
Website Design & Developed By BATL