২৭-নভেম্বর-২০২৪
২৭-নভেম্বর-২০২৪
Logo
চট্রগ্রাম

উদ্বোধনের ৯মাস পার হলেও পানি শোধনাগারে পানি নেই!

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশিতঃ ২০২৪-০১-২১ ১৪:৩৮:১০
...

মো.আবুল বাশার নয়ন, বান্দরবান
পানির সংকট দূর করতে ১৪বছর আগে আলীকদম পানি শোধনাগারের কাজ শুরু করেছিল জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ। দুই দফায় কাজ শেষে গত ৯মাস আগে প্রকল্পটি উদ্বোধন করা হয়। কিন্তু এখনো জনগণের উপকারে আসছে না আলীকদম পানি শোধনাগার। গত বছর ১২ এপ্রিল এই প্রকল্পটি উদ্বোধন হয়। কিন্তু এখনো পানি সংযোগ পায়নি স্থানীয়রা।

সঠিক সময়ে প্রকল্পের উপকার ভোগ করতে না পারায় ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা। যথাসময়ে প্রকল্পটি চালু করতে না পারায় ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ছে জনস্বাস্থ্য বিভাগ। তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সংযোগ পেলে প্রকল্পটি চালু করা হবে। সরেজমিনে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সাবেরমিয়াপাড়া এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আলীকদম উপজেলায় বিশুদ্ধ পানির চাহিদা পূরণে ২০১১ সালে কাজ শুরু করেছিল বান্দরবান জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ।

মাতামহুরী নদীর পানি পরিশোধন করে গ্রাহকদের কাছে সরবরাহ করাই ছিল প্রকল্পের উদ্দেশ্য। তখন কাজ শুরু হলেও আলোর মুখ দেখেনি প্রকল্পটি। অর্থসংকটের কথা বলে প্রকল্পটি বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু ২০২০ সালে পরিকল্পনা কমিশন থেকে ৯কোটি ৪৬ লাখ টাকা ব্যায়ে পুন: নির্মাণ করা হয়। কাজটি শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২২সালের জুন মাসে। সবশেষ ২০২৩ সালের ১২এপ্রিল পানি শোধনাগারটি উদ্বোধন হয়েছে। কিন্তু এখনো প্রকল্পটি চালু করতে পারেনি জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ। পানি সংযোগ না দিয়ে নানা অজুহাতে দিন পার করছে কর্তৃপক্ষ। যার কারনে কাজের গাফেলতি ও অনিয়মকে দুষছেন স্থানীয়রা।

এদিকে কর্তৃপক্ষের গাফেলতির কথা উল্লেখ করে স্থানীয় উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান কফিল উদ্দিন বলেন, নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানকে একাধিকবার তাগাদা দেওয়া হলেও সঠিক সময় কাজ করেনি। ধীরগতিতে কাজ হওয়ায় প্রকল্প থেকে স্থানীয় মানুষ সুবিধাভোগ করতে পারছে না।

এই বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে বান্দরবান জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী অনুপম দে বলেন, ‘গৃহসংযোগ না পাওয়ায় এটি চালু করা যাচ্ছে না।

এছাড়া অন্যকোন সমস্যা নেই’। স্থানীয় সচেতন নাগরিকরা জানান, আলীকদম উপজেলায় পানির সংকট দীর্ঘদিনের। সরকার যথাসময়ে বরাদ্দ দিয়ে প্রকল্পটি করার সীদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু বান্দরবান জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগে টেন্ডার প্রক্রিয়ায় সিন্ডিকেট, অনিয়ম ও যথাসময়ে কাজ না করায় সরকারের বড় একটি প্রকল্প প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে।