২১-নভেম্বর-২০২৪
২১-নভেম্বর-২০২৪
Logo
চট্রগ্রাম

চট্টগ্রামের দর্শনীয়স্থান সীতাকুণ্ড ইকো পার্ক

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশিতঃ ২০২৪-০২-১২ ১৬:১১:০১
...

শংকর কান্তি দাশ, চট্টগ্রাম :
দেশের অন্যতম ব্যবসা-বাণিজ্য কেন্দ্র হিসেবে চট্টগ্রামের রয়েছে সমৃদ্ধ ইতিহাস। তবে আমরা অনেকেই জানি না, প্রাকৃতিক এবং স্থাপত্য সৌন্দর্যের দিক দিয়েও বন্দর নগরী চট্টগ্রাম অনন্য।
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড ইকো পার্ক চট্টগ্রাম শহর থেকে মাত্র ৩৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। যা বর্তমানে অসাধারণ এক পর্যটন স্থান হিসাবে বেবেচিত হচ্ছে। এখানে সহস্র ধারা এবং সুপ্তধারা নামে দুইটি অনিন্দ্য সুন্দর ঝর্ণা রয়েছে। এছাড়া সীতাকুণ্ড ইকো পার্কে রয়েছে অসংখ্য দুর্লভ প্রজাতির গাছ যা বৃক্ষ বিষয়ক জ্ঞান বৃদ্ধিতে সহায়ক। বোটানিক্যাল গার্ডেনে রয়েছে অর্কিড হাউস, যেখানে প্রায় ৫০ ধরনের দেশী-বিদেশী বিভিন্ন প্রজাতির অর্কিড সংরক্ষিত রয়েছে।

পাহাড়, বৃক্ষরাজি, বন্যপ্রাণী, ঝর্ণা, পাখির কলরব ইকো পার্কটিকে আরো সমৃদ্ধ করেছে। উঁচুনিচু পাহাড় , বানর, খরগোশ এবং হনুমান সহ বিভিন্ন বন্যপ্রাণীর সমাহার, আছে অর্জুন, চাপালিশ, জারুল, তুন, তেলসুর, চুন্দুল সহ আরও অনেক ফুল, ফল ও ওষধি গাছ। সূর্য ডোবার সময় গোধূলীর রক্তিম আভায় ইকোপার্কটিকে অপার্থিব মনে হয়। ইকো পার্কে প্রবেশ করলে একটি বড় ডিসপ্লে চোখে পড়ে, এই ডিসপ্লেতে ইকোপার্কে আসা সমস্ত পর্যটকদের ইকো পার্ক সম্পর্কে ধারনা দেয়া আছে। সিএনজি সহ ইকো পার্কে প্রবেশ করতে ৮০/- টাকা লাগে। আর সিএনজি ছাড়া প্রবেশ করলে লাগে ২০ টাকা। সীতাকুণ্ড ইকো পার্কে চাইলে পিকনিক করতে পারবেন। এখানে পর্যাপ্ত খাবার পানি, রেষ্টহাউস, টয়লেট ইত্যাদির সুবিধাসহ পিকনিকের জন্য রয়েছে যাবতীয় আয়োজন।

সীতাকুণ্ড ইকো পার্ক কিভাবে যাবেন সড়ক পথে ঢাকা থেকে : এস.আলম, সৌদিয়া, গ্রীনলাইন, সিল্ক লাইন, সোহাগ, বাগদাদ এক্সপ্রেস, ইউনিক ইত্যাদি পরিবহণের বিভিন্ন এসি, ননএসি বাস গুলো সায়দাবাদ বাস ষ্টেশন থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে ছাড়ে। সবগুলো বাসই সীতাকুণ্ডে প্রয়োজন অনুযায়ী থামে। বাসে করে ঢাকা থেকে আসলে সীতাকুন্ড বাস স্টপেজ থেকে ২ কিলোমিটার দূরে ফকিরহাট নামক জায়গা দিয়ে সীতাকুণ্ড ইকো পার্কে যতে হয়। চট্টগ্রাম থেকে : চট্টগ্রামের মাদারবাড়ী ও কদমতলী বাস ষ্টেশন থেকে সীতাকুণ্ড যাবার বাসগুলো ছাড়ে। এ ছাড়া অলঙ্কার থেকে মেক্সীতে করে সীতাকুণ্ডের ফকিরহাট যাওয়া যায়।

সীতাকুণ্ড থেকে সারাদিনের জন্য সিএনজি ভাড়া নিয়ে নিতে পারেন। সেক্ষেত্রে ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা লাগতে পারে। তবে ইচ্ছা করলে পায়ে হেঁটে পার্কে ঘুরতে পারবেন তবে তাতে সময় বেশি লাগবে। সময় বাঁচাতে পারলে সহজেই সীতাকুণ্ড ও মিরসরাই এলাকার ঝর্ণা ও ঝিরি ট্রেইল গুলো দেখে নিতে পারবেন। কোথায় থাকবেন সীতাকুণ্ডে থাকার জন্য তেমন কোন ভালো মানের আবাসিক হোটেল নেই। সীতাকুণ্ড বাজারে কয়েকটি মাঝারি মানের আবাসিক হোটেল আছে। এছাড়া এখানে টেলি-কমিউনিকেশনের অধীনস্থ একটি ডাকবাংলো আছে। অনুমতি নিয়ে সেখানে থাকার চেষ্টা করতে পারেন।