নিজস্ব প্রতিনিধি
চট্টগ্রাম দক্ষিণ :
চট্টগ্রাম লোহাগাড়ার চুনতিতে রাতের আঁধারে বিরোধীয় জায়গায় আদালতের নিষেধাজ্ঞাকে উপেক্ষা করে বৃদ্ধার দখলীয় জায়গা টিলা-পাহাড় কেটে জোরপূর্বক বাড়ি নির্মাণ করে দখল করার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। একই সাথে সরকারি চলাচলের রাস্তাও ঘেরাও দিয়ে দখল করে নিয়েছে ওই ভূমিদস্যু। উপজেলার চুনতি ইসহাক মিয়া সড়কস্থ গোয়ইল্যা মুড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় পুরো এলাকায় ক্ষোভ বিরাজ করছে। আদালতের নির্দেশকে তোয়াক্কা না করে এমন কর্মকান্ডের বিরূপ মন্তব্য করছে সচেতন মহল। চরম হতাশায় ভুগছে ভুক্তভোগী মহল। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক জরুরী ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য হস্তক্ষেপ কামনা করছেন মানবাধিকার সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। ঘৃণিত এমন কাজের দ্রুত ব্যবস্থা না নেওয়া হলে আইন-শৃঙ্খলার উপর জনসাধারণের অনাস্থার আশংকা করছেন তারা।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী দখলবাজ ও ভুমিদস্যুর বিরুদ্ধে লোহাগাড়া থানা, লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সরকারি কমিশনার ভূমি, লোহাগাড়া উপজেলা পরিষদ, জেলা প্রশাসক চট্টগ্রাম, বিভাগীয় কমিশনার চট্টগ্রাম, পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম, বরাবর সহ বিভিন্ন দপ্তরে ও সংসদ সদস্য, চট্টগ্রাম-১৫ বরাবর অভিযোগ দায়ের করেন।
জানা যায়, চুনতি শাহ্ সাহেব গেইট সংলগ্ন বৃদ্ধার জায়গা নিয়ে স্থানীয় এক প্রভাবশালী ভূমিদস্যু চক্র জায়গা দখলের পাঁয়তারা করছিল। প্রশাসনের নিকট অভিযোগের প্রেক্ষিতে অনেক প্রিন্ট ও ইলেকট্রিক মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় ভুক্তভোগী আদালতের আশ্রয় নেন। মহামান্য আদালত শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে বিরোধীয় জায়গার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।
ভুক্তভোগী মিনারা বেগম সাংবাদিককে জানান, “বিরোধীয় জায়গা থেকে বিবাদী জিয়াবুল ও মিনু আকতার গং পাহাড় কেটে মাটি সরিয়ে নিয়ে গেছে। এবং সেই স্থানে অর্থাৎ মৃত আবদুল গফুর এর ওয়ারিশ ও খরিদা জমির উপর টিলার মধ্যে ঐ এলাকার মৃত জবির আহমদ এর প্রথম স্ত্রী মৃত আরাফা বেগম এর কবর ছিল।
সে মাটিগুলো রাতের আঁধারে শাহ সাহেব হুজুর এর মাজারের পশ্চিম পাশে হিন্দু পাড়া সংলগ্ন ইসহাক মিয়া সড়ক এর দক্ষিণ পাশে ভরাট করে।” এ বিষয়ে জানার জন্য অভিযুক্ত ব্যক্তিদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনো কিছু কপি করা যাবে না
Website Design & Developed By BATL