২১-নভেম্বর-২০২৪
২১-নভেম্বর-২০২৪
Logo
চট্রগ্রাম

নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে ২৭টি বার্মিজ গরু জব্দ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিতঃ ২০২৪-০১-১০ ১৮:০৭:০৩
...

মো.আবুল বাশার নয়ন, বান্দরবান:

বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্তে উত্তেজনার মধ্যেও চোরাই পথে শুল্ক ফাকি দিয়ে আনা হচ্ছে বার্মিজ গরু। গত কয়েকদিন সীমান্ত শান্ত থাকার সুযোগে বিপুল সংখ্যক গরু সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্টে এনে পাহাড়ে মজুদ করেছে চোরাইকারবারীরা। এমন গোপন সংবাদ পেয়ে নাইক্ষ্যংছড়িস্থ ১১ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ানের আভিযানিক দলের সদস্যরা ২৭টি বিশালাকৃতির বার্মিজ গরু জব্দ করেছে।

বুধবার (১০ জানুয়ারি ) ভোর সাড়ে ৪ টার দিকে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার জারুলিয়াছড়ি গহীন পাহাড় থেকে এসব গরু জব্দ করে বিজিবি। এই বিষয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি ১১ বিজিবি অধিনায়ক লে. কর্নেল সাহল আহমদ নোবেল জানান, সীমান্ত সুরক্ষা, চোরাচালান ও মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।

উল্লেখ্য, মায়ানমার সীমান্তের ওপার থেকে শুল্ক ফাঁকি দেয় বার্মিজ গরু, ইয়াবা এবং স্বর্ণের বার পাচারে একটি চক্র গত এক বছর ধরে সক্রিয় হয়ে উঠেছে। আইন শৃংখলাবাহিনীর এক শ্রেণীর অসাধু সদস্য ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায় এই অবৈধ কর্মকান্ড চালানো হচ্ছে। এতে করে সীমান্ত ও আশপাশের এলাকা অনিরাপদ হয়ে উঠছে। রাতে চোরাচালান বহনের সময় অস্ত্রধারীরা সক্রিয় হয়ে উঠেছে। তবে নাইক্ষ্যংছড়ি ১১বিজিবির বর্তমান অধিনায়ক যোগদানের পর থেকে সীমান্ত চোরাচালান প্রতিরোধে ব্যাপক তৎপরতা দেখা যাচ্ছে। যার কারনে চোরাইকারবারীরা কোনঠাসা হয়ে একেক সময়, একেক সীমান্ত দিয়ে চোরাচালান বানিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে। প্রসঙ্গত, গত প্রায় দেড় বছর ধরে বাংলাদেশের ওপারে মায়ানমারের বিভিন্ন পয়েন্ট সক্রিয় রয়েছে মায়ানমারের স্বাধীনতাকামী আরাকান আর্মি (এএ) রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন (আরএসও) এবং সীমান্তে সন্ত্রাসা দল হিসেবে পরিচিত রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা) সহ কয়েকটি অস্ত্রধারী দল মায়ানমার সীমান্তে সক্রিয় রয়েছে। এসব দলের সদস্যরা বার্মিজ গরু, ইয়াবা, আইস এবং স্বর্ণ চোরাচালানে জড়িয়ে পড়েছে এমনটি অভিযোগ রয়েছে আইনশৃংখলা বাহিনীর কাছে। বাংলাদেশের এপারের চোরাকারবারীরা ওপারের অস্ত্রধারীরে সঙ্গে অর্থের বিনিময়ে লেনদেনের মাধ্যমে এই বানিজ্য ছড়িয়ে পড়ছে বাংলাদেশের এপারে। এই প্রসঙ্গে আইন শৃংখলাবাহিনীর এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে এই প্রতিবেদককে জানান, দিন যতো যাচ্ছে ওপারের কয়েকটি সংগঠন চোরাচালানে সক্রিয় হয়ে উঠছে। অস্ত্র কেনার জন্য এমন অবৈধ কারবার বলে তিনি মনে করেন।