২৭-নভেম্বর-২০২৪
২৭-নভেম্বর-২০২৪
Logo
চট্রগ্রাম

নোয়াখালীতে উচ্ছেদকৃত ভূমিহীনরা খাস জমি উদ্ধার করেছে

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশিতঃ ২০২৪-০১-২৯ ১২:৫৯:৪৩
...

নোয়াখালী :
নোয়াখালী শহর থেকে ৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে উপকূলীয় সুবর্ণচর উপজেলার চর জুবলী ইউনিয়নের ভুলূয়া নদীর পাড়ে দূর্গম চর বাগ্গা মৌজায় আড়াইশ একর সরকারী খাস জমি ভূমিদস্যুদের কবল থেকে উদ্ধার করেছে ভূমিহীনরা। ভূমিদস্যুরা অবৈধ চিংড়ী ঘেরের নামে জোরপূর্বক ভূমিহীনদেরকে উচ্ছেদ করে এসব ভূমি দখল করে নেয়। গত ৭ই জানুয়ারী ২০২৪ ভোর থেকে ভুমিহীন নারী পুরুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে ঐ ভূমিতে নতুন করে ঘরবাড়ী নিমার্ণ ও বসবাস শুরু করেছে। গতকাল সোমবার সকালে এ প্রতিনিধি সরেজমিনে গেলে এ দৃশ্য দেখতে পায়।

ভূমিহীন বিবি কুলসুম, নাজমা, আছমা, নুরুল হক ও আঙ্কুরের নেসা জানানা, মেঘনা ও ভূলুয়া নদী থেকে জেগে উঠা নতুন চরে বসতি স্থাপন করে ১৯৯৯ সালে ভূমিহীনরা। ভূমিহীন নেতা সফির নেতৃত্বে নারী পুরুষকে সমিতিভূক্ত করে এসব জমিতে চাষাবাদ শুরু করে। প্রতিটি ভূমিহীন পৃথক পৃথকভাবে নোয়াখালী জেলা প্রশাসকের কাছে ঐ সময় বন্দোবস্ত পাওয়ার জন্য আবেদন করে।

২০০৫ সালে নোয়াখালীর চৌমুহনীর ভূমিদস্যু জাহাঙ্গীর আলম, ফিরোজ চৌধুরী ও আহসান উল্যা তাদের লাঠিয়াল বাহিনী দিয়ে বসবাসরত ৫ শতাধিক ভূমিহীন নারী পুরুষকে মারধর করে ভিটে মাটি থেকে উচ্ছেদ করে এবং তাদের ঘরবাড়ী পুড়িয়ে দেয়। এসময় একটি জুম্মা মসজিদ ও ২০টি কবরস্থান গুড়িয়ে দেন এবং পানি ডুকিয়ে গোটা এলাকা জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করে।

নিরুপায় হয়ে ভূমিহীনরা জেলার বিভিন্ন বেড়িঁবাধেঁ আশ্রয় নেয়। ভূমিদ্যুদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় ভূমিহীন ও মসজিদের ক্যাশিয়ার হোরণকে তাদের বাহিনী পিটিয়ে হত্যা করে। ভূমিহীনরা ঐসময় নোয়াখালী জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত আবেদনে হোরন হত্যা, ভূমিহীনদে কে উচ্ছেদকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানায়।

গত ১০ই জানুয়ারী ঐ সরকারী খাস জমি থেকে ভূমিদস্যুদের হটিয়ে ভূমিহীনরা খাস জমি উদ্ধার করে সেখানে ঘরবাড়ী নিমার্ণ ও বসবাস শুরু করে। গতকাল সোমবার সকাল ১১টার সময় চর বাগ্গা সফি বাজার এলাকায় ভূমি বন্দোবস্থ এর দাবীতে এক সমাবেশ করে। উক্ত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সফি নেতা। সমাবেশে বক্তরা নোয়াখালী জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রির কাছে ভূমিহীনদের মাঝে ভূমিবন্দোবস্তের দাবি জানান।

এ ব্যাপারে নোয়াখালী জেলা প্রশাসক মো: দেওয়ান মাহবুব জানান, তদন্তের মাধ্যমে যাচাই বাচাই করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।