নিজস্ব প্রতিনিধি
বাঁশখালী (চট্টগ্রাম):
চট্টগ্রামের বাঁশখালী পৌরসভার মিয়ার বাজার সংলগ্ন এলাকায় শতবর্ষী দারোগা পুকুরটি রাতের আঁধারে ভরাট করে ফেলা হচ্ছে। পাঁচ একর আয়তনের পুকুরটি রাতের আঁধারে পাহাড়ি মাটি ও কৃষিজমির টপ সয়েল কেটে পাঁচ, ছয়টি ট্রাকে করে মাটি ফেলে ভরাট করে ফেলছে ভূমিদস্যু চক্র। স্থানীয় হাজারও মানুষ এই পুকুরটি ব্যবহার করে। পাহাড়ি মাটি কেটে পুকুর ভরাট নিয়ে বন বিভাগ ও পরিবেশ অধিদপ্তরের নীরব ভূমিকায় স্থানীয়দের মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ঐতিহ্যবাহি দারোগা পুকুরটি এক তৃতীয়াংশ ভরাট করে ফেলা হয়েছে। ত্রিপুরা চরণের মালিকানাধীন পুকুরটি স্থানীয় হাজারও মানুষ নিত্যদিনের কাজে ব্যবহার করে আসছেন। সম্প্রতি ত্রিপুরা চরণের ছেলেরা পুকুরের মালিকানা হুমায়ূন নামে অন্য ব্যক্তিকে বিক্রি করে দিলে নতুন মালিক প্রশাসনের নাকের ডগায় প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নির্মাণের জন্য ভরাট করে ফেলছেন। অগ্নি দুর্ঘটনাসহ বিভিন্ন প্রয়োজনে এই পুকুরটিই এই এলাকার একমাত্র ভরসা৷ অভিযোগ আছে, স্থানীয় কাউন্সিলর মোহাম্মদ ইসহাকের যোগসাজশে এই পুকুরটি ভরাট করে ফেলা হচ্ছে। তবে কাউন্সিলর মোহাম্মদ ইসহাকের দাবি, এই অভিযোগ সত্য নয়।
বাঁশখালী ফায়ার সার্ভিসের টিম লিডার আযাদুল ইসলাম বলেন, পুকুর ভরাট সম্পূর্ণ নিষেধ। আগুন লাগলে আগুন নিয়ন্ত্রণের জন্য একমাত্র ভরসা পুকুরের পানি। তাই পুকুর ভরাটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া উচিত।
বাঁশখালী পৌরসভার মেয়র অ্যাডভোকেট তোফাইল বিন হোসাইন বলেন, দারোগা পুকুর ভরাটের বিষয়টি আমি গুরুত্ব সহকারে নিচ্ছি। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এব্যাপারে বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেসমিন আক্তার বলেন, পুকুর ভরাটের বিষয়টি জানার পর লোকজন পাঠিয়ে বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। পুলিশ প্রশাসনকেও এব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনো কিছু কপি করা যাবে না
Website Design & Developed By BATL