২১-নভেম্বর-২০২৪
২১-নভেম্বর-২০২৪
Logo
সম্পাদকীয়

মেয়াদহীন ভিসায় কর্মরত অনেকে, বিদেশিদের শৃঙ্খলায় আনতে হবে

দিন পরিবর্তন ডেস্ক

প্রকাশিতঃ ২০২৪-০২-১১ ২০:০০:৩৩
...

যেকোনো দেশে বিদেশিদের বসবাস করতে হলে কিছু নিয়মনীতি মেনে চলতে হয়। সেই অনুযায়ী দেশে দেশে কিছু বিধিবিধানও তৈরি করা হয়। ওই সব দেশের আইনের আলোকে গঠিত নীতিমালা প্রবাসীদের মান্য করে চলতে হয়। কিন্তু আমাদের দেশে বিদেশিদের জন্য তেমন নীতিমালা গঠন করা হয়নি। যার ফলে অনেক বিদেশি বিভিন্ন কাজে নিয়োজিত থেকে অবাধে বসবাস করছেন।

দৈনিক দিনপরিবর্তন-এ প্রকাশিত এক সংবাদে বলা হয়েছে, দেশে ‘এক লাখের বেশি বিদেশি বিভিন্ন পেশায় কর্মরত’। ব্যবসা-বাণিজ্যসহ নানা পেশায় তারা নিয়োজিত। বিদেশিদের জন্য সুনির্দিষ্ট কোনো নীতিমালা না থাকায় তারা ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও বসবাস করেন। উপার্জিত অর্থ থেকে এ দেশকে তারা সন্তোষজনক করও দেন না। অথচ নিয়মিত অর্জিত অর্থ নিজ নিজ দেশে পাঠাচ্ছেন। এর একমাত্র কারণ আমাদের দেশে বিদেশিদের জন্য আইনি বাধ্যবাধকতা না থাকা।

এ দেশে এসে চাকরি ও ব্যবসা-বাণিজ্য করবেন, অথচ কর দেবেন না- তা হয় না। এই জন্য একটা নির্দিষ্ট নীতিমালা থাকা দরকার। যার পরিপ্রেক্ষিতে বিদেশিরা বসবাস করবেন। এ কারণে প্রথমেই বিদেশিদের জন্য নীতিমালা থাকা দরকার। সেই সঙ্গে তথ্যভাণ্ডার গড়ে তোলা প্রয়োজন। একজন বিদেশি কোন খাতে কাজ করবেন, কত বছর এ দেশে থাকবেন, তার একটি তথ্য-তালিকা থাকা দরকার। যার সূত্র ধরে তার রোজগার, নিজ দেশে অর্থ পাঠানো, ভিসার মেয়াদ নিরীক্ষণ, আবাসন, কর্মক্ষেত্র- এসব পর্যবেক্ষণে রাখা যাবে।

আমাদের দেশের অনেক নাগরিক বিদেশে যান। তাদের ওই সব দেশের নীতিমালা মেনে রেমিট্যান্স পাঠাতে হয়। চলাফেরা, বসবাস করা, সবকিছুই আইনের পরিধিতে করতে হয়। কিন্তু আমাদের দেশে বিদেশিদের জন্য তেমন গঠনমূলক কোনো বিধি-বিধান তৈরি করা হয়নি। যার ফলে অনেক বিদেশি অপরাধ করেও পার পেয়ে যান। বিদেশিদের জন্য যত দ্রুত সম্ভব একটি আইনিব্যবস্থা তৈরি করা দরকার। তাহলে তাদের কর্মপ্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। অপরাধ করলেও তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা নেয়া যাবে।

উন্নত দেশগুলোয় প্রবাসীদের জন্য সুগঠিত বিধিব্যবস্থা আছে। সেই নীতির আলোকে এই সব দেশে ভিন দেশিরা বসবাস করেন। অনেক দেশে এই জন্য আলাদা দপ্তর রয়েছে। সে সব দেশে বিদেশিদের সমাগমে নতুন নতুন ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা হয়। অনেক দেশেই ওয়ার্কপারমিটসহ আবাসন সুবিধারও ব্যবস্থা আছে। সব কিছু করা হয় দেশের উন্নয়ন ও শৃঙ্খলার স্বার্থে।

আমাদের দেশেও বিদেশিরা নানামুখী প্রয়োজনে বসবাস করছেন। দেশের উন্নয়নে তাদের অংশীদারিও অস্বীকার করা যাবে না। শৃঙ্খলার স্বার্থে তাদের কার্যক্রম বিধি মোতাবেক পরিচালিত করতে হবে। আনতে হবে করের আওতায়। তাহলেই সুশৃঙ্খল হবেন বিদেশিরা। এতে দেশও লাভবান হবে।