২৪-নভেম্বর-২০২৪
২৪-নভেম্বর-২০২৪
Logo
সিলেট

তাহিরপুরের মানুষ সাড়ে ৭ কিলোমিটার রাস্তার কাছে অসহায়

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশিতঃ ২০২৪-০১-৩১ ১৭:২০:১৩
...

শামছুল আলম আখঞ্জী, তাহিরপুর (সুনামগঞ্জ):
সাড়ে ৭কিলোমিটার রাস্তার বেহাল অবস্থা হওয়ার কারণে, অসহায় উত্তরাঞ্চলের মানুষ।নিরুপায় হয়ে ২৬কিলো মিটার পথ পাড়ি দিয়ে যেতে উপজেলা সদরে। জরাজীর্ণ পথ পাড়ি দিতে গিয়ে মর্মুর্ষ রোগী কিংবা গর্ভবতী মায়ের অনেক দুর্ঘটনার শিকার হতে হয়।

সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের খালাগাওঁ থেকে - -- বড়দল (দঃ) ইউনিয়নের বড়দল গ্রামের পশ্চিমের পাকাঁ রাস্তা পর্যন্ত( প্রায়) সাড়ে ৭কিলোমিটার রাস্তা।
এ-ই রাস্তাটি পাকাঁকরণ হলেই, উত্তরাঞ্চলের মানুষের জন্য উপজেলা সদরের সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থ্যা অতিসহজতর হয়ে ওঠবে। কমে যাবে জনদুর্ভোগ। অসহায়ত্বের শিকল ভেঙে, উন্মোচিত হবে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পর্যটনসহ কৃষি খ্যাতের বিশাল সম্ভবনাময়ে। সৃষ্টি হবে এক নতুনত্বের ডিজিটালের ছোঁয়া।

স্থানীয়রা জানান,এই রাস্তাটি উপযুক্ত পাকাকরণ হলে, ২৬ কিলো পথ আর পাড়ি দিতে হবে না। অল্প রাস্তা, স্বল্প খরচে, কম সময়েই উপজেলা সদরে পৌঁছে যাবে হাওর পাড়ের মানুষ জন। এতে উপকৃত হবে, ২৫/৩০টি গ্রামের ৩০ থেকে ৩৫ হাজার মানুষ। মর্মুর্ষ রোগী, গর্ভবতী মা' উপজেলা সদরে কিংবা জেলা সদর হাসপাতালের স্বাস্থ্যসেবা থেকেও বঞ্চিত হবে না। রাস্তা সুগম হওয়ার ফলে এম্বুলেন্স, সিএনজি, কার অটোরিক্সা,মটর সাইকেলে পরিবহন করে
দ্রুত নেওয়া যাবে, পাবে পরিপূর্ণ চিকিৎসা সেবা এর ফলে কমবে মৃত্যু ঝুঁকি।

কৃষি প্রধান দেশে হাওরাঞ্চলের যোগাযোগ অবস্থা বেহাল হওয়ার কারণে অনেক কৃষক, কৃষি চাষবাসে বিমুখ হয়ে পড়েছেন। এর ফলে হাজার হাজার একর জমি অনাবাদিতে রুপ নিয়েছে। ধান উৎপাদনের সংখ্যা কমে যাচ্ছে। এই কৃষি কাজে কৃষককে উদ্ভোদ্ধ করতে হলে,হাওরের পাদদেশের গুপাট সড়ক, নালা খাল খনন,কালভার্ট নির্মাণ, ধান শুকনোর খলাসহ যোগাযোগ সহজ তরে পাকাকরণে উন্নতি করতে হবে। এর ফলে কৃষক, কষি চাষাবাদে আগ্রহী হয়ে ওঠবে। এমনটা জানান স্থানীয় সর্বজন। বীজতলা থেকে চারা রোপণ আর পাকাঁ ধান কেটে ঘোলায় উঠানো পর্যন্ত খরচের পরিমাণ কমে যাবে। লাভমান হবে প্রতিটি কৃষক পরিবার । কৃষাণীর ফুটবে হাসি। তাদের এসব দেখে অন্যরাও উদ্ভোধ হবে একাজে।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান ও পাঠ গ্রহণ সঠিক সময়ে শুরু হবে, শিক্ষক-শিক্ষিকা,কিংবা শিক্ষার্থীরা পৌছবেন নির্দিষ্ট সময় মধ্যে ।এর ফলে শিক্ষা ক্ষেতে ব্যাপক উন্নয়নের প্রসারিত হবে।

আগত পর্যটক অতিসহজেই টাংগুয়ার হাওর, নীলাদ্রি লেক পর্যটন স্পষ্টে অল্প সময়ে, স্বল্প খরচে আসা যাওয়ার পথ সুগম হবে। এ কারণে পর্যটকদের সংখ্যা বাড়তে পারে। অধিক হারে পর্যটকদের আনা গোনা হলে এলাকায় কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।কমবে বেকারত্বের সংখ্যা। এর সাথে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী অপরাধ দমনে বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারবে,, এ রাস্তা দিয়ে অল্প সময়ের মধ্যে উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে সংগঠিত সংঘর্ষের অপরাধীকে আটক করতে সক্ষম হবে।
ব্যবসা বানিজ্যিকের পথও সুগম হয়ে ওঠতো, এর ফলে,উত্তরাঞ্চলের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হতো। পরিবর্তন হতো আদিকালের পায়ে হাঁটার চিত্র।

তাহিরপুর উপজেলার বড়দল গ্রামের সানজব উস্তার বলেন, এই রাস্তাটি পাকাকরণে,কৃষি, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষাসহ পর্যটন স্পষ্টের ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হবে আমি করি। বিশেষ করে হাওর পাড়ের কৃষকের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটবে। কৃষি চাষবাদ করে,উন্নয়নের ছোঁয়ায় পৌছবে প্রতিটি কৃষক পরিবার। রোপণ থেকে পাকাঁ ধান ঘোলায় উঠানোর খরচ কমে যাবে
এর প্রতিটি কৃষক লাভবান হবে। আমি এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে জোয়ালো দাবি জানাই, উর্ধতন কতৃপক্ষের কাছে অনতিবিলম্বে রাস্তাটি পাকাকরণ করা হউক।

মটর সাইকেল চালক আলী হাসান বলেন, এই রাস্তাটি পাকাকরণ হলেই উপজেলা সদরে যেতে আর কোন কাঁচা রাস্তা থাকবে না, নিরাপদে যাত্রী নিয়ে পৌচ্ছে দিতে পারবো যাত্রী গণকে। এতে আমাদের লাভ হবে,অল্প সময়ে অধিক টিপ দিয়ে আয়ের বাড়বে। জীবন মান উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে আমার বিশ্বাস। তাই অনতিবিলম্বে রাস্তাটি পাকাকরণ করা হউক।

উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলী হায়দার বলেন, আমি উর্ধতন কতৃপক্ষের কাছে এই রাস্তাটি পাকাঁ করণ করার জন্য বার বার অবহিত করে যাচ্চি।এবং নিজের লোক দিয়ে মাফ নিয়ে জেনেছি, সাড়ে ৭কিলোমিটার রাস্তা।এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলীর কাছে লিখিত আবেদন দেওয়ার হয়েছে। আলোচনা করে চলছি, তাঁরা আমাকে আশ্বাস দিয়েছেন, অবিলম্বে এর বরাদ্দ হবে।

এব্যাপারে তাহিরপুর উপজেলা প্রকৌশলী আরিফ উল্লাহ খান বলেন, আমি একটু ব্যস্ত
ফাইল গেটে জেনে জানাই, না হয় আমার অফিসের সাজুর কাছে জানতে পার।