সুনামগঞ্জ
উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীক নৌকা থাকছে না প্রচার হওয়ায় সুনামগঞ্জের সব কয়টি উপজেলায় প্রার্থী সংখ্যা বেড়ে গেছে। জেলার ১১ উপজেলায় পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুন ও ফেসবুকে প্রচারণা দিয়ে সম্ভাব্য প্রার্থীতার কথা জানান দিয়েছেন ৫৫ জন প্রার্থী। বিএনপির কেউ এখনো প্রার্থীতার প্রচারণায় নামেন নি। বিএনপি নির্বাচনে গেলে এই সংখ্যা আরও বেড়ে যাবে। সবচেয়ে বেশি সংখ্যক প্রার্থী রয়েছেন তাহিরপুর উপজেলায়।
জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন পরে হওয়ায় এই সময়ে ওই উপজেলায় নির্বাচন হচ্ছে না। সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদে বর্তমান চেয়ারম্যান জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক খায়রুল হুদা চপল, বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান আবুল হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু সুফিয়ান, সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি মনিষ কান্তি দে মিন্ট, ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য জেলা পরিষদের সাবেক প্যানেল চেয়ারম্যান সৈয়দ তারিক হাসান দাউদ এবং নাম আলোচনায় প্রচারণায় রয়েছে।
এদিকে বর্তমান সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান এডভোকেট আবুল হোসেন নির্বাচন ঘোষণার আগ থেকে উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়ন ও গ্রামে গ্রামে নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন। সময়ে অসময়ে তাকে সাধারণ মানুষের কাছে পাওয়া যায় বলে তিনি সাধারণ মানুষের কাছে খুবই জনপ্রিয়। মেঘ-বৃষ্টি, শীত নেই রাত-দিন আবুল হোসেনকে সব জায়গায় ছুটে থাকতে দেখা যায়। তাহিরপুর উপজেলায় মঙ্গলবার পর্যন্ত আটজন সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম প্রচারণায় রয়েছে।
এরা হচ্ছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হোসেন খান, সাধারণ স¤পাদক অমল কর, উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান খসরুল আলম, আওয়ামী লীগ নেতা নিজাম উদ্দিন, মোতাহের হোসেন আখঞ্জি শামীম, জেলা যুব লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মঞ্জুর খন্দোকার, বালিজুরি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আজাদ হোসেন ও উত্তর বড়দল ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কাসেম।
দোয়ারাবাজার উপজেলায় বর্তমান চেয়ারম্যান দেওয়ান তানভির আশরাফি চৌধুরী, সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আমিরুল হক ও কাজী আনোয়ার মিয়া আনু, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল মিয়া এবং আওয়ামী লীগ নেতা নুরুল আমিনের প্রচারণা রয়েছে। নবগঠিত মধ্যনগর উপজেলায় এবারই প্রথম নির্বাচন হবে। এই উপজেলায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি প্রবীর বিজয় তালুকদার, সাধারণ স¤পাদক পরিতোষ চন্দ্র সরকার ও দক্ষিণ বংশিকুণ্ডা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাসেল আহমদের নাম শোনা যাচ্ছে।
ধর্মপাশা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ স¤পাদক শামীম আহমদ বিলকিস, যুগ্ম স¤পাদক শামীম আহমদ মুরাদ, বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেন রুখন, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নাসরিন সুলতানা দীপা ও সঞ্জয় রায় চৌধুরী এবং সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ফখরুল ইসলাম চৌধুরী’র নাম আলোচনায় আছে।
জামালগঞ্জ উপজেলায় বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ইকবাল আল আজাদ, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি রেজাউল করিম শামীম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আব্দুল মুকিত চৌধুরী, আওয়ামী লীগ নেতা হাদিদ গণি ও মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী মারজানা ইসলাম শিবনা’র প্রচারণা রয়েছে।
দিরাই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কামাল উদ্দিন, সাধারণ স¤পাদক প্রদীপ রায়, সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান তালুকদার, জেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক স¤পাদক অ্যাড. আজাদুল ইসলাম রতন, সাবেক পৌর মেয়র মোশারফ মিয়া, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রঞ্জন রায় ও আওয়ামী লীগ নেতা মতিউর রহমান মতি। শান্তিগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কালাম, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি অ্যাড. বোরহান উদ্দিন দোলন ও বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান নূর হোসেনের নাম আলোচনায় আছে। শাল্লা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অবনী মোহন দাস, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুস ছাত্তার, বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান দীপু রঞ্জন দাস ও আওয়ামী লীগ নেতা কামরুল ইসলামের নাম শুনা যাচ্ছে। ছাতক উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বর্তমান চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান আবু সাদাত লাহীন, ছাতক পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াহিদ মজনু, আওয়ামী লীগ নেতা রফিকুল ইসলাম কিরণ ও আওয়ামী লীগ নেতা ইসতিয়াক রহমান তানভির। বিশ^ম্ভরপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বেনজির আহমদ মানিক, বর্তমান চেয়ারম্যান সফর উদ্দিন, সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ স¤পাদক দিলীপ কুমার বর্মণ, সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম তালুকদার ও রনজিত চৌধুরী রাজন এবং আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাড. আলমনূর হীরা। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ স¤পাদক নোমান বখত পলিন বললেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রতীক নৌকা থাকবে না এটা মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে। প্রার্থীতা নিয়ে দলীয় অবস্থান কী হবে এখনো জানানো হয়নি। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল হুদা মুকুট বললেন, দলীয় প্রতীক থাকবে না। তবে জেলা পরিষদ নির্বাচনের মত দলের সমর্থিত প্রার্থী থাকতে পারে। এখনো বিষয়টি পরিস্কার হয় নি। কেন্দ্রীয় নির্দেশনাও পাওয়া যায় নি। এই সরকারের অধীনে দল কোন নির্বাচনে যাবে না।
সুতরাং নির্বাচনে অংশ গ্রহণের প্রশ্নই ওঠে না বললেন জেলা কৃষকদলের আহ্বায়ক আনিসুল হক। জেলা বিএনপির সাংগঠনিক স¤পাদক কামরুজ্জামান কামরুল বললেন, দলের কেউ নির্বাচনে অংশ নিলে দল তাকে বহিস্কার করবে। শান্তিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা ফারুক আহমদ বললেন, দলের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছি, দল নির্বাচনে অংশ না নিলে আমি নির্বাচন করবো না।
অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনো কিছু কপি করা যাবে না
Website Design & Developed By BATL