বিজয়ের পতাকা হাতে
ছবি ও লেখা : মোবারক হোসেন
কাঁধে তার লালসবুজের পতাকা। মাথায় বাঁধা বিজয় নিশান। শক্ত হাতে ধরা অপেক্ষাকৃত ছোট আকারের জাতীয় পতাকা। ছোট বাচ্চারা এসব পতাকা হাতে নিয়ে নেড়ে নেড়ে বিজয়ের সংকেত জানায়। রাস্তায় চলমান মোটরসাইকেট-রিকশার সম্মুখভাগেও দেখা মেলে এ পতাকার।
পতাকার সঙ্গে আরো আছে স্বাধীনতার প্রতীক খচিত মাথার ব্যান্ড। হাতে বাঁধার বাহুবন্ধনী। ক্ষুদ্র আকৃতির পতাকা; যা বিজয়ের মাসে পাড়া-মহল্লায় সুতায় বেঁধে টানিয়ে দেয়া হয়। স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসায়ও শোভা পায় পতাকাগুলো। এ মাসে পাড়া-মহল্লাসহ চারদিকে বিরাজ করে স্বাধীনতার আনন্দ। সে এক অন্যরকম দৃশ্য।
এক দৃষ্টিতে চেয়ে রাজপথে হেঁটে চলেছেন পতাকাবাহী ত্রিশোর্ধ্ব নাসিম। পুরো নাম নাসিম আলী সুজন। বাড়ি তার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে। রাজধানী শহর ঢাকায় বছরের অন্য সময় ফলের ব্যবসা করেন। এটাই তার জীবিকা অর্জনের প্রধান পথ। প্রতি বছরের মতো এ মাসে করেন জাতীয় পতাকার ব্যবসা। বেচাবিক্রি ভালোই হয়। বিজয়ের মাসে খুবই প্রচলিত একটি পণ্য।
স্বাধীনতা-প্রিয় মানুষের বিজয়ের মাস ডিসেম্বর। এ মাসে রাজপথে দেখা যায় চীরচেনা এই দৃশ্য। বাসা, অফিস, ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানে টানানো হয় বিজয়ের নিশান। তাই এই পণ্যের চাহিদা বেড়ে যায় কয়েক গুণ।
এ পতাকা মানুষের চেতনায় লালিত স্বাধীনতার অনুভূতি জাগায়। নতুন করে আবেগ আনে মানুষের মনে। মনে করিয়ে দেয় লাখো মুক্তিযোদ্ধার আত্মত্যাগের স্মৃতি। স্মরণ করিয়ে দেয় জীবন্ত কিংবদন্তি মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বগাথা পেছনের ইতিহাস।
অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনো কিছু কপি করা যাবে না
Website Design & Developed By BATL