সোনার বরন কলস
ছবি ও লেখা : মোবারক হোসেন
সোনার বরন সুদৃশ্য কলস। দূর থেকে যে কারো নজর কাড়বে। নীল রঙা রিকশাভানে সাতটি কলস পাশাপাশি সাজানো। প্রতিটি কলসের গায়ে লাল ফিতা দিয়ে সাদা কাগজে লেখা- ধনিয়া পাতা, পুদিনা পাতা, নাগা, টক দই, তেঁতুলের মিষ্টি টক, তেতুলের ঝাল টক। সাতটি কলসে সাত রকম স্বাদে রসনাবিলাসী পানীয়। সঙ্গে খাবারের প্রধান উপকরণ ফুচকা টাইপের ‘পানিপুরি’।
রাজধানী ঢাকায় বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা। মেইন গেটের রাস্তার একধারে হাজারো মানুষের কলাহল। ফুটপাতে বিভিন্ন সামগ্রীর ভ্রাম্যমাণ বিক্রেতারা, ফুটপাত ঘেঁষে ছোট ভ্যান কিম্বা অস্থায়ী দোকানে নানা পদের খাবার বিক্রেতারা। হরদম চলছে বেচাকেনা। এরই মাঝে নীল রংয়ের একটি সাইকেল ভ্যানের সামনে ক্রেতাদের ভিড়। ঢাসা ঢাসা ফোলা, ফুচকার চেয়ে কিছুটা বড় আকারের। নাম ‘কলকাতার পানিপুরি’। সোনালি কলসে রাখা সুস্বাদু পানীয় নিজ হাতে ইচ্ছামতো নিয়ে গ্রাহকরা খাচ্ছেন নতুন ধারার খাবার।
ভারতীয় বিক্রেতাদের ধারণা থেকে আমাদের দেশে প্রচলন হয়েছে এই খাবারের। দাম প্রতি প্লেট ৫০ টাকা। সদ্য প্রচার হওয়া এই পণ্যটি এখন পাওয়া যায় মোহাম্মদপুর, শনির আখড়া, মিরপুর, ১০০ ফিটসহ রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তে। এসব তথ্য জানালেন রিকশাভ্যানের এই খাদ্যবিক্রেতা। তার নাম বায়েজিদ বোস্তামী। বয়স ২৫-এর কাছাকাছি। বাড়ি বগুড়া জেলায়। তার প্রতিদিন বিক্রি হয় ৫-৬ হাজার টাকা। প্রতিদিন কমবেশি লাভ থাকে ২ হাজার টাকা। কখনো কখনো তার চেয়েও বেশি। নতুন ধারার এই খাদ্যপণ্যটি স্বাচ্ছন্দ্যে চালিয়ে নিচ্ছে বায়েজিদের পারিবারিক জীবন।
অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনো কিছু কপি করা যাবে না
Website Design & Developed By BATL